কুমানের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে বার্সেলোনা কর্মকর্তাদের কড়া সমালোচনা করলেন ১৯৯৭-২০০০ ও ২০০২-২০০৩ পর্যন্ত সময়ে বার্সেলোনার কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ফন খাল।
প্রথম মেয়াদে কাতালান ক্লাবটিকে দুটি লা লিগাসহ চারটি শিরোপা জেতালেও স্থানীয় গণমাধ্যমের মন জয় করতে পারেননি তিনি। সেই সময়ে দলটির তারকা ফুটবলার রিভালদোর সঙ্গেও তার দ্বন্দের খবর গণমাধ্যমে এসেছিল। বিদায়বেলায় তাই সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, “মিডিয়ার বন্ধুরা, আমি চলে যাচ্ছি। আপনাদেরকে অভিনন্দন।” আর ২০০২ সালে তিন বছরের চুক্তিতে কাম্প নউয়ে ফিরলেও লা লিগায় টানা ব্যর্থতায় দায়ে ছয় মাস পরই চাকরি হারান তিনি।
বর্তমানে দল ভাঙাগড়ার মধ্যে দিয়ে চলা এখনকার বার্সেলোনার অবস্থা সত্যিকার অর্থে তেমন অবাক করার মতো কিছু নয়। লিওনেল মেসিসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় চলে যাওয়ায় এবং চোটের আঘাতে কয়েকজন বাইরে থাকায় মাঠে দলটিকে চেনার উপায় নেই। একের পর এক ব্যর্থতায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছে তারা।
আন্তর্জাতিক বিরতির আগে লা লিগায় পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ ও আতলাতিকো মাদ্রিদের চেয়ে ৫ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকা দলটি নিজেদের ছায়া হয়ে আছে ইউরোপ সেরার মঞ্চেও। আসরে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচেই হেরে শঙ্কা জেগেছে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের। আর এর দায় পড়েছে কুমানের ওপর।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সোমবার রাতে জিব্রাল্টার মুখোমুখি হবে নেদারল্যান্ডস। আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বার্সেলোনায় বর্তমানে কুমানের কঠিন পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফন খাল বলেন, ক্লাবটির ইতিহাস বিবেচনায় নিলে এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক।
“ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। বার্সেলোনায় সবসময় এগুলোই হয়। যখন সবকিছু ভালোভাবে চলে, ফ্রেংকি ডি ইয়ং গত দুই বছর সেখানে যেমন খেলছে, সবকিছু এমনভাবে হলে ভাবনার কিছু নেই।”
“কিন্তু কোনো কিছু খারাপ হলেই বার্সেলোনার লোকজন বিদেশিদের ঘাড়ে দোষ চাপায়। আর এক্ষেত্রে সেটা কোচের ওপর। আমি কুমানকে পরামর্শ দিতে চাই, এসব বিষয়ে যেন মাথা না ঘামায়।”