ফরোয়ার্ডরা চাপে আছে: সুফিল

তিন ম্যাচে বাংলাদেশের পাওয়া দুই গোল দুই ডিফেন্ডার তপু বর্মন ও ইয়াসিন আরাফাতের। ফরোয়ার্ডদের কেউ এখনও পাননি গোলের দেখা। এমন বাস্তবতায় মাহবুবুর রহমান সুফিলও মেনে নিলেন কিছুটা চাপে থাকার কথা। নেপালের বিপক্ষে হাফ-চান্সগুলো কাজে লাগানোর আশাবাদও জানালেন এই ফরোয়ার্ড।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Oct 2021, 03:01 PM
Updated : 10 Oct 2021, 03:01 PM

মালদ্বীপের রাজধানী মালের রাশমি ধান্দু স্টেডিয়ামে আগামী বুধবার বিকাল ৫টায় নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এ ম্যাচেই নির্ধারিত হবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের আসরের ফাইনালে জামাল-সুফিলদের খেলা হবে কিনা।

গত নভেম্বরে নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। প্রথমটি গোলশূন্য ড্রয়ের পর দ্বিতীয়টি নাবীব নেওয়াজ জীবন ও সুফিলের গোলে জিতেছিল দল।

সাফের আগে কিরগিজস্তানের ত্রিদেশীয় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের মধ্যে কেবল কিরগিজস্তান অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে হেরে যাওয়া ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন সুমন রেজা। ওই ম্যাচের পর থেকে গোলের দেখা পাননি ফরোয়ার্ডরা।

মালদ্বীপের বিপক্ষে হারের পর দুই দিন বিশ্রাম শেষে রোববার মালের হেনভেইরু মাঠে অনুশীলন সেরেছে দল। বাফুফের পাঠানো ভিডিও বার্তায় সুফিল জানিয়েছেন ফরোয়ার্ডদের অবস্থা।

“যেহেতু ডিফেন্ডাররা প্রথম দুই ম্যাচে গোল পেয়েছে…আমি মনে করি, অবশ্যই আমাদের ফরোয়ার্ডরা চাপে আছে। কোন ফরমেশনে খেলাবেন, কোচ সেটা চূড়ান্ত করেননি। বিভিন্ন পজিশনে খেলাচ্ছেন। সেখানে মানিয়ে নিতে পারলে হয়ত কৌশল বদলাবেন, না হলে আগের মতোই খেলবেন।”

“আমি মনে করি, যেহেতু শেষ ম্যাচ ১৩ তারিখে। যদি হাফ চান্সও পাই, সেটা যেন কাজে লাগাতে পারি। ডিফেন্স, স্ট্রাইকার যারাই আছে, তারা যেন সুযোগ কাজে লাগাতে পারে।”

২০১৮ সালের সাফে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ ছিটকে গিয়েছিল নেপালের বিপক্ষে হেরে। গ্রুপ পেরুতে হলে সেই ম্যাচে জয়ের বাধ্যবাধকতা ছিল দলের। কিন্তু চাপে ভেঙে পড়ে দল। এবারও অনেকটা একই পরিস্থিতির মুখে বাংলাদেশ। তবে ডিফেন্ডার কাজী তারিক রায়হান জানালেন কোনো চাপ না নেওয়ার কথা।

“জিততে হবে… এ নিয়ে কোনো চাপ নিচ্ছি না। এটা থেকে বরং আমরা অনুপ্রেরণা নিচ্ছি ফাইনাল খেলার। আমরা শতভাগ আত্মবিশ্বাসী। আগেও বলেছি নেপাল ম্যাচের চ্যালেঞ্জ বাড়তি প্রেরণা হিসাবে নিচ্ছি।”

“আশা করি, আমরা যেটা করতে চাই, ম্যাচে সেটা করতে পারব। নেপালের আক্রমণ আটকানোর পরিকল্পনা আমাদের আছে। আমরা একটা দল হয়ে ডিফেন্ড করি। তাদের আটকানোর কৌশল আমাদের জানা আছে।”

সাত দিনে তিনটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। টানা খেলার ক্লান্তি দুই দিনের বিশ্রামে দল ঝেড়ে ফেলেছে বলে জানালেন তারিক।

“সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ দারুণ অভিজ্ঞতা। দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের সবচেয়ে আসর। অনেক মানুষ মাঠে খেলা দেখতে আসছে। এটা দারুণ অভিজ্ঞতা। দুই দিনের রিকভারি সতেজ অনুভব করছি। দলকে ভালো দেখাচ্ছে, সবাই সতেজ আছে।”