অ্যান্ডোরার মাঠে স্কোরলাইনটাও হয়েছে প্রত্যাশিত। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে শনিবার রাতে ‘আই’ গ্রুপের ম্যাচটি ৫-০ গোলে জিতেছে ইংল্যান্ড।
বেন চিলওয়েলের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বুকায়ো সাকা। আর দ্বিতীয়ার্ধে একে একে জালে বল পাঠান ট্যামি আব্রাহাম, জেমস ওয়ার্ড-প্রাউস ও জ্যাক গ্রিলিশ। গত মাসে ঘরের মাঠে র্যাঙ্কিংয়ের ১৫৬তম দলটিকে ৪-০ গোলে হারিয়েছিল গত ইউরোর রানার্সআপরা।
আগের ম্যাচের একাদশ থেকে ১০ পরিবর্তন এনে মাঠে নামা ইংল্যান্ড প্রায় ৮৫ শতাংশ সময বল দখলে রেখে গোলের উদ্দেশ্যে ১৭টি শট নেয়, যার আটটি ছিল লক্ষ্যে। পুরো ম্যাচে একটি মাত্র শটই নিতে পারে অ্যান্ডেরা।
প্রথম পাঁচ রাউন্ডে সবকটিতে জয়ের পর গত মাসে পোল্যান্ডের মাঠে ১-১ ড্র করেছিল ইংল্যান্ড। ওই ম্যাচে যোগ করা সময়ে গোল খেয়ে পয়েন্ট হারিয়েছিল তারা। দুর্বল প্রতিপক্ষ পেয়ে সহজেই জয়ের পথে ফিরল সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
এই জয়ে কাতার বিশ্বকাপের মূল পর্বের আরও কাছে পৌঁছে গেল গ্যারেথ সাউথগেটের দল। গ্রুপের দুই নম্বর দল আলবেনিয়ার চেয়ে ৪ পয়েন্টে এগিয়ে শীর্ষে ইংল্যান্ড। বাকি আছে তিন রাউন্ড।
গত কয়েক বছর ধরে দাপুটে ফুটবল খেলা ইংল্যান্ড প্রত্যাশিতভাবে এই ম্যাচেও দারুণ শুরু করে। প্রথম আধা ঘণ্টায় ৯০ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে রেখে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে তারা। এর মাঝে চমৎকার পাসিং ফুটবলে গড়া আক্রমনে গোলও পেয়ে যায় ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের তৃতীয় স্থানে থাকা দলটি।
ফিল ফোডেনের উঁচু করে বাড়ানো বল ডি-বক্সে দারুণভাবে ডান পায়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জেডন স্যানচো দ্বিতীয় ছোঁয়ায় ছোট করে কাটব্যাক করেন। ফাঁকায় বল পেয়ে জোরালো শটে অনায়াসে বাকিটা সারেন ডিফেন্ডার চিলওয়েল। প্রথমে অফসাইডের পতাকা উঠলেও দীর্ঘক্ষণ ভিএআরে দেখে গোলের সিদ্ধান্ত আসে।
শুরুতে একটি সুযোগ হারানো আব্রাহামের ২৩তম মিনিটে নেওয়া জোরালো হেড ঝাঁপিয়ে ফেরান গোলরক্ষক গোমেজ মোরেইরা। ফিরতি বলে রোমা ফরোয়ার্ড আব্রাহামের শট প্রতিহত হয়।
রক্ষণের ওপর দিয়ে তার বাড়ানো আরেকটি দারুণ ক্রস ডি-বক্সে খুঁজে পায় সাকাকে। ঠাণ্ডা মাথায় বল ধরে দুরূহ কোণ থেকে জোরালো শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন আর্সেনাল মিডফিল্ডার।
৫৮তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ান আব্রাহাম। বাঁ থেকে স্যানচোর গোলমুখে বাড়ানো বল টোকায় জালে পাঠান ২৪ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
৭৯তম মিনিটে স্কোরলাইন ৪-০ করেন জেমস ওয়ার্ড-প্রাউস। খানিক আগে বদলি নামা গ্রিলিশ ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। ওয়ার্ড-প্রাউসের স্পট কিক রুখে দিয়েছিলেন গোলরক্ষক, তবে ফিরতি বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি সাউথ্যাস্পটনের এই মিডফিল্ডার।
এবারের বাছাইয়ে এখন পর্যন্ত সাত ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ২৩ বার বল পাঠিয়েছে ইংল্যান্ড। বিপরীতে হজম করেছে মাত্র দুটি। ছয় জয় ও এক ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ১৯।
হাঙ্গেরির মাঠে ১-০ গোলে জয়ী আলবেনিয়া ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে। স্যান ম্যারিনো ৫-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়া পোল্যান্ড ১ পয়েন্ট কম নিয়ে আছে তিন নম্বরে।