নেপাল-ভারত ম্যাচের দিকেও তাকিয়ে বাংলাদেশ

রাউন্ড রবিন লিগে মাঠে গড়ানো এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ অর্ধেক পথ পেরিয়ে গেলেও এখনও ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত হয়নি কারো। পাঁচ দলের চারটিরই সম্ভাবনা বেঁচে আছে। তাই কেবল নিজেদের ম্যাচ জিতলেই চলবে না, প্রার্থনা করতে হবে অন্য ম্যাচের ফলও যেন পক্ষে থাকে। জটিল হিসেবের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের নজর থাকবে তাই নেপাল-ভারত ম্যাচের দিকে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Oct 2021, 02:02 PM
Updated : 8 Oct 2021, 02:08 PM

দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে নেপাল। তিন ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচে ৩ পয়েন্ট মালদ্বীপের; সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের রেকর্ড সাতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের পয়েন্ট ২।

আগামী ১০ অক্টোবর মুখোমুখি হবে নেপাল-ভারত। তিন দিন পর নেপালের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে নিচের দিকের দল শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের বিপক্ষে ড্র করা ভারতের শেষ ম্যাচের প্রতিপক্ষ সাফের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপ; ছেত্রিদের জন্য পথটা তাই বেশ কঠিন।

পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও বাংলাদেশ বিশেষ দৃষ্টি রাখবে নেপাল-ভারত ম্যাচের দিকে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) শুক্রবার পাঠানো ভিডিও বার্তায় টিম ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপুও জানালেন নিজেদের হিসাব।

“আমাদের কাছে যেটা মনে হচ্ছে, যদি খুব বেশি মিরাকল না হয়, তাহলে হয়ত নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে এক দল, ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে একটা দল ফাইনাল খেলবে। এজন্য গুরুত্বপূর্ণ ১০ তারিখে ভারত-নেপাল ম্যাচটি।”

“ওই ম্যাচ যদি নেপাল জিততে পারে, তাহলে তো সরাসরি কোয়ালিফাই করেই যাবে; যদি না জিততে পারে, তাহলে আমার মনে হয়, আমাদের জন্য সুযোগ উন্মুক্ত হয়ে যাবে, আমরা নেপালকে হারাতে পারলে ফাইনালে উঠব।”

শ্রীলঙ্কাকে ১-০ গোলে হারিয়ে এবং ভারতের বিপক্ষে ১-১ ড্র করে লক্ষ্য কিছুটা পুরণ হয়েছে বলে মনে করেন রুপু। মালদ্বীপের বিপক্ষে ২-০ গোলের হারে তাই সব শেষ হয়ে গেছে বলে মনে করছেন না এই সাবেক ডিফেন্ডার।

“ফাইনাল খেলার প্রাথমিক লক্ষ্য নির্ধারণ করে এসেছিলাম। আমাদের যে সূচি দেওয়া হয়েছিল, সে অনুযায়ী আমাদের মনে হয়েছে প্রথম দুই ম্যাচে যে ফল পেয়েছি, তা ঠিক আছে। ওই দুই ম্যাচের পর আমরা এমন একটা অবস্থান তৈরি করেছি যে, মালদ্বীপ ম্যাচে যদি দুর্ঘটনা হয়েও থাকে, তাহলে যেন পরের ম্যাচে কাভার করার সুযোগ থাকে।”

“গতকাল জিততে পারিনি বলে ফাইনালে ওঠার প্রথম সুযোগটা হাতছাড়া হয়েছে, কিন্তু দ্বিতীয় অপশন এখনও আমাদের হাতে রয়ে গেছে। আমরা সেটার জন্য মানসিকভাবে তৈরি। খেলোয়াড়রাও চেষ্টা করছে। আমিও দেখছি, শুরু থেকে তারা ম্যাচ বাই ম্যাচ ভালো খেলার চেষ্টা করছে। তাদের সবারই লক্ষ্য সাফের ফাইনাল খেলা এবং সে লক্ষ্য নিয়েই ছেলেরা নেপালের বিপক্ষে নামবে এবং আশা করি আমরা জয়লাভ করতে সক্ষম হব।”

মালদ্বীপ ম্যাচে এক গোল হজম করার পর কোচ অস্কার ব্রুসন কৌশল বদলান। আক্রমণভাগের শক্তি বাড়ান ঘুরে দাঁড়াতে। কিন্তু পেনাল্টি ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয় বলে মনে করেন রুপু।

“এক গোলে পিছিয়ে থাকার পর কোচ খেলাটা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিল, কৌশল বদলেছিল, কিন্তু পেনাল্টি হওয়ার পর ম্যাচের ভাগ্য অনেকটাই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। যেহেতু ম্যাচটা হেরে গিয়েছি, সেটা ভুলে আমরা পরবর্তী ম্যাচ নিয়ে ভাবছি।”