নেশন্স লিগের সেমি-ফাইনালে বুধবার এই বিরূপ অভিজ্ঞতার শিকার হতে হয় দোন্মারুম্মাকে। ম্যাচের শুরু থেকে যতবারই বল ধরেন, সান সিরোর গ্যালারি থেকে ধেয়ে আসে দুয়ো। এসবের প্রভাবও পড়ে ২২ বছর বয়সী গোলকিপারের পারফরম্যান্সে। ১৯ মিনিটের সময়ের সেরা গোলকিপারদের একজন বলে বিবেচিত দোন্নারুম্মার হাত থেকে বল ফসকে প্রায় গোলই হয়ে যাচ্ছিল।
ম্যাচে ২-১ গোলে হেরে যায় ইতালি। দেশের হয়ে ৩৭ ম্যাচ খেলে প্রথমবার ২ গোল হজম করেন দোন্নারুম্মা।
দোন্নারুম্মাকে দুয়ো দেওয়ার উৎস বুঝে নিতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এসি মিলানে প্রায় ছয় বছরের ক্যারিয়ার শেষে নতুন চুক্তিতে সই না করে এবার তিনি যোগ দেন ফরাসি ক্লাব পিএসজিতে। এতেই মিলানের সমর্থকদের অনেকের কাছে তিনি নায়ক থেকে হয়ে ওঠেন খলনায়ক।
কিন্তু জাতীয় দলের ম্যাচে দর্শকদের এই আচরণে বিরক্ত কোচ মানচিনি।
“ইতালি খেলছিল এখানে, কোনো ক্লাব ম্যাচ এটি ছিল না। তারা (দর্শক) এক রাতের জন্য সবকিছু পাশে সরিয়ে রাখতে পারত এবং পিএসজি-মিলান ম্যাচ হলে সেখানে এসব করতে পারত। ইতালি তো ইতালি, দেশ তো সবকিছুর ওপরে!।”
“আমি রোমাঞ্চিত… আশা করি সেখানে খুব বেশি কিছু হবে না (নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া)। আমি সবসময়ই মিলানের ভক্ত হয়ে থাকব।”
তার সেই আশা পূরণ হলো না। ম্যাচের আগেই অবশ্য আভাস কিছুটা মিলেছিল। ইতালির টিম হোটেলের বাইরে মিলান সমর্থকরা একটি ব্যানার টাঙিয়ে দেয়, যেখানে লেখা ছিল, “তোমাকে মিলানে আর স্বাগত জানানো হবে না দোন্নারুম্মা।”
এই ম্যাচে হেরে থেমে যায় ইতালির রেকর্ড অপরাজেয় যাত্রা। অবশ্য লিওনার্দো বোনুচ্চির লাল কার্ডে ৪২ মিনিটের পর থেকে ১০ জন নিয়ে খেলতে হয় তাদেরকে।