ফিওরেন্তিনার মাঠে গত রোববার ২-১ গোলে জেতে নাপোলি। ম্যাচের পর তাদের তিন খেলোয়াড় কালিদু কলিবালি, ভিক্টর ওসিমহেন ও জাম্বো আঙ্গিসা ড্রেসিংরুমে যাওয়ার সময় ঘটে ওই ঘটনা।
ম্যাচের পরদিন টুইট করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তি দাবি করেন সেনেগালের সেন্টার-ব্যাক কলিবালি। তার দাবি, তাকে ‘বানর’ ডাকা হয়েছে। ইতালির ক্রীড়া দৈনিক গাজ্জেত্তা দেল্লো স্পোর্ত জানায়, ওসিমহেন ও আঙ্গিসাও স্বাগতিক দর্শকদের বর্ণবাদী আচরণের শিকার হন।
ওসিমহেন পুরো ঘটনাটি তুলে ধরে টুইটারে একটি বিবৃতি দেন পরে যা রিটুইট করে নাপোলি।
উয়েফা নেশন্স লিগে চার দলের ফাইনালসে বুধবার স্পেনের মুখোমুখি হবে ইতালি। মিলানে প্রথম সেমি-ফাইনালটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে একটায়। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে ওঠে অপ্রীতিকর ঘটনাটির প্রসঙ্গ। সেখানে ইতালি অধিনায়ক কিয়েল্লিনি বলেন, এই বর্ণবাদী আচরণ ‘অগ্রহণযোগ্য’।
“আমাদের (বর্ণবাদী আচরণ রোধে) আইন দরকার এবং সেটা প্রয়োগ করতে হবে, এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একজন ইতালিয়ান ও টাস্কান(মধ্য ইতালির অংশ) হিসেবে আমি লজ্জিত, কারণ আমার কাছে ইতালি বর্ণবাদী দেশ নয়।”
“আরও জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে, নয়তো বাইরে থেকে নিজেদের ব্যাপারে একটি খারাপ ভাবমূর্তি তৈরি করব আমরা।”
চলতি মৌসুমে সেরি আর ম্যাচে বর্ণবাদের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এসি মিলানের গোলরক্ষক মাইক মিয়াঁর সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণ করেছিলেন ইউভেন্তুসের এক সমর্থক। পরে আলিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামের ক্যামেরা ব্যবহার করে ইউভেন্তুস কর্তৃপক্ষ ওই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে এবং স্টেডিয়ামে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করে।