মালদ্বীপ ম্যাচও ‘ফাইনাল’

প্রতিটি ম্যাচই ‘ফাইনাল’-সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরুর আগে কোচ, খেলোয়াড়রা ঘুরেফিরে বলেছেন এই কথা। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে, ভারতকে রুখে দিয়ে দারুণ আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা বাংলাদেশ দলের মনোভাব আছে সেই আগের মতোই। মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচটিও ‘আরেকটি ফাইনাল’ হিসেবে নেওয়ার কথা জানালেন গোলরক্ষক কোচ নুরুজ্জামান নয়ন।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Oct 2021, 12:24 PM
Updated : 5 Oct 2021, 12:34 PM

মালের রাশমি ধান্দু স্টেডিয়ামে আগামী বৃহস্পতিবার স্বাগতিক মালদ্বীপের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালের পর দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে এই প্রথম দেখা হচ্ছে দুই দলের।

মালের হেনভেইরু ট্রেনিং পিচে মঙ্গলবার অনুশীলন সেরেছে বাংলাদেশ। মালদ্বীপে গিয়ে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন মিডফিল্ডার সোহেল রানা ও ডিফেন্ডার রেজাউল করিম। আগে সেরে ওঠা সোহেল খেলেছেন ভারতের বিপক্ষে। এ দিন অনুশীলনে ফিরেছেন রেজাউল। ভারত ম্যাচে বিশ্বনাথ ঘোষ লালকার্ড পাওয়ায় মালদ্বীপ ম্যাচের আগে রেজাউলের ফেরাটা দলের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তির।

সাফের ত্রয়োদশ আসরে মাঠের পারফরম্যান্সে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপের চেয়ে এগিয়ে ২০০৩ সালে সবশেষ এ শিরোপা জেতা বাংলাদেশ। পাঁচ দলের মধ্যে র‌্যাঙ্কিংয়ে তলানির দল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় পেয়েছে। শীর্ষ দল ভারতের বিপক্ষে ড্রয়ের তৃপ্তিও সঙ্গী তাদের। অন্যদিকে, কখনও সাফের শিরোপা না জেতা নেপালের কাছে ১-০ গোলে হেরে শুরু করেছে মালদ্বীপ।

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ২৯ ধাপ এগিয়ে মালদ্বীপ। খেলাও তাদের মাঠে। দলটির আক্রমণভাগেও আছে দক্ষিণ এশিয়ার তারকা ফরোয়ার্ডদের দুই জন আলি আশফাক ও আলি ফাসির।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) মঙ্গলবার পাঠানো ভিডিও বার্তায় গোলরক্ষক কোচ নয়ন তাই এ ম্যাচটিকেও ফাইনাল হিসেবে দেখার কথা জানিয়েছেন। শিষ্যদেরও ভাবতে বলছেন তার মতো করে।

“আমি মনে করি, এই টুর্নামেন্টের প্রতিটি ম্যাচই ফাইনালের মতো। আপনি যদি পয়েন্ট হারান, তাহলে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোটা কঠিন। আর গোলরক্ষকদের আমি যেভাবে অনুপ্রাণিত করি…ওদেরকে একটা বার্তাই দেই-নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা কর। হতে পারে এটাই তোমার জীবনের শেষ ম্যাচ। কেননা, কে কখন চোটে পড়ে ছিটকে যায়…।”

ভারতের বিপক্ষে বিশ্বনাথে ঘোষের লাল কার্ডে আধ ঘণ্টা ১০ জন নিয়ে লড়েছে বাংলাদেশ। সমতার স্বস্তি নিয়ে মাঠও ছেড়েছে। দলের মানসিকতায় মুগ্ধ নয়ন।

“আমি আল্লাহর কাছে অনেক কৃতজ্ঞ; এটা মনে হয়েছে যে, ১০ জন নিয়ে আমরা যেভাবে লড়াই করেছি, আমাদের ১০ জনের পেছনে ১৭/১৮ কোটি জনগণ ছিল। সেই স্পিরিটই মনে হয় খেলোয়াড়রা মাঠে তৈরি করতে পেরেছে।”

দলে গোলরক্ষক তিন জন-আনিসুর রহমান জিকো, শহিদুল আলম সোহেল ও আশরাফুল ইসলাম রানা। গত দুই ম্যাচে পোস্ট সামলেছেন জিকো; ভারতের বিপক্ষে দারুণ কয়েকটি সেভও করেছেন বসুন্ধরা কিংসের এই গোলরক্ষক। নয়নও খুশি তিন জনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব থাকায়।

“আমি খুব খুশি যে, আমাদের যে তিন জন গোলরক্ষক রয়েছে, তাদের মধ্যে টিম ওয়ার্ক আল্লাহর রহমতে খুবই ভালো। যে-ই খেলুক না কেন, বাকি দুজন কিন্তু তাকে সমর্থন দেয়। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে দু-তিনটা দারুণ সেভ করেছে জিকো, ওকে বিশেষ ধন্যবাদ। আমি মনে করি ভারতের বিপক্ষে ড্র করাটা একটা টার্নিং পয়েন্ট।”