‘সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ভারতকে হারাতে পারতাম’

শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে ড্রয়ের তৃপ্তি আছে। কিন্তু মোহাম্মদ ইব্রাহিম, রাকিব হোসেন, বিপলু আহমেদ, মতিন মিয়ারা যে সুযোগগুলো নষ্ট করেছেন, তা নিয়ে হতাশাও কম নয়। বাংলাদেশের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো জানালেন, সুযোগ নষ্টের হতাশা পোড়াচ্ছে দলকে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Oct 2021, 11:43 AM
Updated : 5 Oct 2021, 12:33 PM

মালদ্বীপের রাজধানী মালের রাশমি ধান্দু স্টেডিয়ামে গত সোমবার পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়িয়ে ভারতকে ১-১ ড্রয়ে রুখে দেয় দ্বিতীয়ার্ধে ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া বাংলাদেশ।

একাদশ মিনিটে ইব্রাহিমের ক্রসে শট নিতে পারেননি মূল স্ট্রাইকার হিসেবে খেলা মতিন। এরপর সাদউদ্দিনের প্রচেষ্টা যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে। ২৭তম মিনিটে নষ্ট হয় সুবর্ণ সুযোগ; দ্রুত পাল্টা আক্রমণে ওঠা মতিনের কাটব্যাকে শট নিয়েছিলেন বিপলু, কিন্তু বল বেরিয়ে যায় দূরের পোস্টের বাইরে দিয়ে। ৩৬তম মিনিটে সাদউদ্দিন আড়াআড়ি ক্রসে বিপলুর কোনাকুনি শটও খুঁজে পায়নি জাল।

আরও একটি ভালো সুযোগ নষ্ট হয় ৫১তম মিনিটে। সাদউদ্দিনের কাটব্যাকে বক্সে ফাঁকায় থাকা রাকিব পা ছোঁয়ালেও বল বেরিয়ে যায় বাইরে দিয়ে। রাকিব গোলে শট রাখতে পারলেই হতো গোল। ফরোয়ার্ডদের হতাশা আড়াল হয় ডিফেন্ডার ইয়াসিন আরাফাতের সমতাসূচক গোলে।

পিছিয়ে পড়ার পর হাল না ছেড়ে ইতিবাচক খেলার মানসিকতায় মুগ্ধ জিকো। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পাঠানো মঙ্গলবারের ভিডিও বার্তায় ম্যাচে নষ্ট হওয়া সুযোগগুলো নিয়ে হতাশা আড়াল করেননি তিনি।

“আমরা এখন পজিটিভ ফুটবল খেলছি। চেষ্টা করছি সবাই পাসিং ফুটবল খেলার। সবার আত্মবিশ্বাস আছে। এ মুহূর্তে আমরা যেভাবে খেলছি, সামনেও সেভাবে খেলতে চাই।”

“ভারত অবশ্যই ভালো দল। তারা র‌্যাঙ্কিংয়ে আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। আগের ম্যাচগুলোতে পার্থক্য গড়ে দিচ্ছিল সুনিল ছেত্রি। কিন্তু ওদের বিপক্ষে আমরা অনেকগুলো সুযোগ তৈরি করেছি। যদি কাজে লাগাতে পারতাম, তাহলে ম্যাচটা আমরা জিততে পারতাম। এখন সামনে মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচ, আমরা ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই।”

সাফে বাংলাদেশ-মালদ্বীপের সবশেষ দেখা ২০১৫ সালে। কেরালার সেই আসরে ৩-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। মালদ্বীপকে পেনাল্টি থেকে এগিয়ে নিয়েছিলেন আলি আশফাক। মালদ্বীপের সর্বোচ্চ গোলদাতা এবারও আছেন আক্রমণভাগে। এছাড়াও প্রতিপক্ষের আক্রমণভাগে আছে আলি ফাসিরের মতো নির্ভরযোগ্য ফরোয়ার্ড।

বাংলাদেশ গোলরক্ষক জিকো তাই সাবধানী। তবে সতীর্থ ফরোয়ার্ডদের পরামর্শ দিলেন প্রতিপক্ষের রক্ষণের দুর্বলতার সুযোগ নিতে।

“ফরোয়ার্ডদের গোল করতে হবে। তবে ডিফেন্ডাররাও গোল করতে পারে। আসল কথা, যে কেউই গোল করলে সেটা দলের জন্য ভালো। সামনে মালদ্বীপের বিপক্ষে খেলা, ওদের দলে আলি আশফাক, আলি ফাসিরের মতো ফরোয়ার্ড আছে, কিন্তু ওদের রক্ষণভাগ আমাদের চেয়ে ভালো না। যদি আমরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারি, তাহলে ম্যাচটা বের করে নিতে পারব।”

“আমরা শেষ দুইটা ম্যাচ যেভাবে খেলেছি, সেভাবে যদি খেলতে পারি, মাঝমাঠে ভালো করতে পারি, তাহলে অবশ্যই আমরা ওদের ডিফেন্সকে আতঙ্কে রাখতে পারব।

ভারত ম্যাচে লাল কার্ড পাওয়ায় মালদ্বীপের বিপক্ষে খেলতে পারবেন না ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ। দুই হলুদ কার্ডের খাড়ায় ছিটকে গেছেন মিডফিল্ডার রাকিব হোসেন। জিকো কিছুটা চিন্তিত দলের সমন্বয় নিয়ে।

“আমাদের রিপ্লেসমেন্ট যে খেলোয়াড় আছে, তারাও ১৯-২০। খুব বেশি পার্থক্য নেই। দলের মধ্যে একটা সমন্বয় চলে এসেছিল, কিন্তু ওরা না থাকায় কিছুটা দুর্বলতা দেখা যেতে পারে।”