মালদ্বীপ ম্যাচে গোল পাওয়ার আশা ফরোয়ার্ডদের

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের নায়ক ডিফেন্ডার তপু বর্মন। শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়ে পয়েন্ট মিলেছে আরেক ডিফেন্ডার ইয়াসিন আরাফাতের গোলে। কিন্তু গোল করা যাদের মূল দায়িত্ব, সেই ফরোয়ার্ডদের কেউ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের চলতি আসরে এখনও পাননি জালের দেখা। বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড মতিন মিয়ার বিশ্বাস, মালদ্বীপ ম্যাচে খরা কাটবে তাদের।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Oct 2021, 11:30 AM
Updated : 5 Oct 2021, 12:34 PM

মালদ্বীপের রাজধানী মালের রাশমি ধান্দু স্টেডিয়ামে আগামী বৃহস্পতিবার স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় এবং ভারতের বিপক্ষে ১-১ ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে অস্কার ব্রুসনের দল।

নেপালের কাছে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১-০ গোলে হারা মালদ্বীপ পয়েন্টের খাতা খুলতে পারেনি এখনও।

সবশেষ পাঁচ ম্যাচে বাংলাদেশের চার গোলের দুটি ফরোয়ার্ডদের করা। কিরগিজস্তান অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে হেরে যাওয়া ম্যাচে গোল দুটি করেছিলেন সুমন রেজা। কিন্তু সাফে এসে ফরোয়ার্ডদের পায়ে গোল নেই। শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বিপক্ষে মতিন, রাকিব হোসেনরা সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে বাড়ান হতাশা।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) মঙ্গলবার পাঠানো ভিডিও বার্তায় মতিন জানালেন, ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসার আশাবাদ। মালদ্বীপের রক্ষণের দুর্বলতা কাজে লাগানোর প্রত্যয়।

“ফরোয়ার্ডরা গোল করবে...এটা ঠিক আছে। তারপরও আমি মনে করি, যখন ১১ জন খেলবে, যে কোনো খেলোয়াড়ই গোল করতে পারে। আমরা আশাবাদী; আমরা সবাই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অনুশীলনেও ফিনিশিং নিয়ে কাজ হচ্ছে। ফরোয়ার্ডরা আগামী ম্যাচে গোল পাবে বলে আমি আশাবাদী।”

“মালদ্বীপ আক্রমণে ভালো, কিন্তু ওদের রক্ষণ অতটা ভালো নয়। দুর্বল আছে। আশা করি, আমাদের ফরোয়ার্ডরা সেই দুর্বলতা কাজে লাগাতে পারবে। এ ম্যাচটা আমরা জয়ের জন্য খেলব।”

সতীর্থ ডিফেন্ডারদের গোলদাতার ভূমিকা পালনে মতিন হতাশ নন মোটেও। বরং তপু-ইয়াসিনদের পারদর্শীতায় সাহস পাচ্ছেন আরও। ভারতের বিপক্ষে ড্রয়ে দল আরও আত্মবিশ্বাসী বলেও মনে করেন তিনি।

“যখন ডিফেন্সের খেলোয়াড়রা এসে গোল করে, তখন ফরোয়ার্ডদের খেলোয়াড়দের সাহস আরও বেড়ে যায়। ভালো খেলতে আরও উজ্জীবিত হয়।”

“ভারতের বিপক্ষে কোচ যেভাবে বলেছে, সেভাবে খেলার চেষ্টা করেছি। শুধু আমি না, দলের সবাই ভালো খেলেছে। এরকম খেলতে পারলে ইনশাল্লাহ আমরা আরও ভালো করতে পারব। আমার মনে হয়, এরকম খেললে আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যায়। আমি নিজেও মনে করি, আমার আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে।”

সাফে মাত্র ১০ দিন আগে দলের হাল ধরেছেন অস্কার ব্রুসন। বসুন্ধরা কিংসের দায়িত্বে থাকা এই স্প্যানিশ কোচ এই অল্প ক’দিনে জাতীয় দলেও বুনে দিয়েছেন আক্রমণাত্মক খেলার বীজ। কোচের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন মতিনও।

“ব্রুসন আসলে খেলোয়াড়দের মানসিকভাবে আরও চাঙ্গা করতে পারেন। ভারত ভালো একটা দল, কিন্তু কোচ আমাদের এমনভাবে ট্রেনিং করিয়েছে যে আমাদের কাছে মনে হয়েছে-ওরা কিছুই না। এভাবেই আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক উঁচুতে তুলেছেন তিনি।”