আবারও পয়েন্ট হারাল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

শুরুতে সুযোগ নষ্টের পর চমৎকার গোলে দলকে এগিয়ে নিলেন অঁতনি মার্সিয়াল। কিন্তু ব্যবধান ধরে রাখতে পারল না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। বদলি নেমে তেমন কিছু করে দেখাতে পারলেন না ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোও। তাদের মাঠ থেকে পয়েন্ট নিয়ে ফিরল এভারটন।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Oct 2021, 01:29 PM
Updated : 2 Oct 2021, 02:09 PM

ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে রোববার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। সফরকারীদের সমতায় ফেরান অ্যান্ড্রোস টাউনসেন্ড।

লিগে টানা দুই ম্যাচে পয়েন্ট হারাল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ঘরের মাঠেই গত রাউন্ডে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছিল উলে গুনার সুলশারের দল।

ম্যাচে ৭২ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ইউনাইটেড গোলের জন্য শট নেয় ১৩টি, যার ছয়টি ছিল লক্ষ্যে। এভারটনের ১২ শটের দুটি লক্ষ্যে ছিল।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গত বুধবার ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে রোনালদোর ৯৫তম মিনিটের গোলে ২-১ ব্যবধানে জেতা ম্যাচ থেকে পাঁচটি পরিবর্তন আনেন ইউনাইটেড কোচ। রোনালদোকে রাখেন বেঞ্চে।

বল দখলে শুরু থেকে আধিপত্য করা ইউনাইটেড সপ্তম মিনিটে পায় প্রথম সুযোগ। ডান দিক থেকে লুক শর ক্রসে দূরের পোস্টে লাফিয়ে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি মার্সিয়াল।

চার মিনিট পর সুযোগ আসে এভারটনের সামনে। তবে রাফায়েল ভারানের চ্যালেঞ্জে কাছ থেকে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি সলোমন রনদন। ষোড়শ মিনিটে মাইকেল কিনের হেড পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে গেলে বেঁচে যায় ইউনাইটেড।

২১তম মিনিটে দুর্দান্ত সেভে জাল অক্ষত রাখেন এভারটনের জর্ডান পিকফোর্ড। ফ্রেদের ক্রসে ডি-বক্সে অরক্ষিত এদিনসন কাভানির হেড ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান এই ইংলিশ গোলরক্ষক। ৩৩তম মিনিটে ইউনাইটেডের ত্রাতা দাভিদ দে হেয়া। আলগা বল পেয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ইংলিশ উইঙ্গার ডেমারাই গ্রের শট দারুণ দক্ষতায় ঠেকান স্প্যানিশ গোলরক্ষক।

বিরতির আগে দারুণ গোছানো আক্রমণে এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। ম্যাসন গ্রিনউডের পাস ডি-বক্সের সামনে খুঁজে পায় ব্রুনো ফের্নান্দেসকে। পর্তুগিজ মিডফিল্ডারের বক্সে বাড়ানো বলে বাঁ দিক থেকে ছুটে গিয়ে জোরালো শটে জাল খুঁজে নেন মার্সিয়াল।

আট মাস পর ইউনাইটেডের জার্সিতে গোলের দেখা পেলেন ফরাসি এই ফরোয়ার্ড। সবশেষ গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে সাউথ্যাম্পটনের বিপক্ষে ৯-০ গোলে জয়ের ম্যাচে গোল করেছিলেন তিনি।

৫৭তম মিনিটে কাভানি ও মার্শিয়ালকে তুলে নিয়ে রোনালদো ও জেডন স্যানচোকে মাঠে নামান ইউনাইটেড কোচ সুলশার।

পাল্টা আক্রমণ থেকে ৬৫তম মিনিটে সমতা ফেরায় এভারটন। সতীর্থের পাসে ডি-বক্সে জোরালো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ইংলিশ মিডফিল্ডার টাউনসেন্ড। নড়ার সুযোগ পাননি দে হেয়া।

৭৫তম মিনিটে সুযোগ পান রোনালদো। স্যানচোকে পাস দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন পর্তুগিজ তারকা। ফিরতি বল পেয়ে দুরূহ কোণ থেকে তার শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।

নির্ধারিত সময়ের চার মিনিট বাকি থাকতে কাছ থেকে বল জালে পাঠিয়ে উৎসবে মেতেছিলেন এভারটনের ইয়েরি মিনা। ভিএআরের সাহায্যে রেফারি অফসাইডের বাঁশি বাজালে রক্ষা পায় ইউনাইটেড।

সাত ম্যাচে চার জয় ও দুই ড্রয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সমান পয়েন্ট নিয়ে তিনে এভারটন। শীর্ষে থাকা লিভারপুলেরও ১৪ পয়েন্ট। ইয়ুর্গেন ক্লপের দল অবশ্য এক ম্যাচ কম খেলেছে।