লাল তালিকার দেশগুলোর ফুটবলারদের ‘ছাড়’ দিবে ইপিএল

করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে থাকা ‘লাল তালিকাভুক্ত’ দেশগুলোতে প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এসেছে ইংল্যান্ড। আসছে আন্তর্জাতিক বিরতিতে সম্পূর্ণভাবে কোভিড-১৯ টিকা নেওয়া ওইসব দেশের ফুটবলাররা যোগ দিতে পারবেন জাতীয় দলের সঙ্গে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2021, 07:17 PM
Updated : 1 Oct 2021, 07:17 PM

যুক্তরাজ্য সরকারের সুত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি ও রয়টার্স তাদের শুক্রবারের প্রতিবেদনে বিষয়টি জানায়। জাতীয় দলের হয়ে খেলে ফিরে আসার পর কোয়ারেন্টিনের সময় ক্লাবের হয়ে অনুশীলন করার পাশাপাশি ম্যাচও খেলতে পারবেন খেলোয়াড়রা। 

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে যুক্তরাজ্য সরকারের নিয়ম অনুযায়ী তাদের ‘লাল তালিকায়’ থাকা দেশগুলো থেকে যুক্তরাজ্যে ফেরা সবাইকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন থাকতে হবে বাধ্যতামূলক। লাতিন আমেরিকার দেশগুলো আছে এই তালিকায়।

গত মাসে আন্তর্জাতিক বিরতির সময় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনাসহ লাল তালিকার দেশগুলোর খেলোয়াড়দের ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো, যা ক্ষুদ্ধ করেছিল বিভিন্ন দেশের জাতীয় ফেডারেশনগুলোকে। ওই নিয়মের কারণে প্রথম পছন্দের চার খেলোয়াড়সহ সেবার মোট ৯ জনকে পায়নি ব্রাজিল।

ব্রিটিশ সরকারের নিয়মানুযায়ী, লাল তালিকাভুক্ত দেশ থেকে ইংল্যান্ডে যারা ফিরবেন, তাদেরকে ১০ দিনের বাধ্যতামূলক হোটেলে কোয়ারেন্টিন থাকতে হবে। তবে সরকারের ওই মুখপাত্র বলেন, খেলোয়াড়দের এখন ‘বিশেষ সুবিধায়’ আলাদা রাখা হবে এবং তাদের প্রশিক্ষণ বা খেলার অনুমতি দেওয়া হবে।

"জনস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার সর্বোচ্চ মান বজার রেখে ক্লাব ও দেশ উভয়ের স্বার্থের ভারসাম্য রক্ষার উপায় খুঁজে বের করতে আমরা ফুটবল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।”

“ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের সেরা প্রতিরোধ হলো টিকা দেওয়া এবং এই নতুন ব্যবস্থায় সম্পূর্ণভাবে টিকা দেওয়া খেলোয়াড়রা তাদের নিজ নিজ দেশের হয়ে সবচেয়ে নিরাপদ, বাস্তবসম্মত উপায়ে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। এরপর (ইংল্যান্ডে) ফেরার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তারা ক্লাবের সঙ্গে অনুশীলন ও খেলার সুযোগও পাবেন।" 

আন্তর্জাতিক বিরতি ৪ অক্টোবর শুরু হয়ে চলবে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত। পরদিন থেকেই পুনরায় শুরু হবে প্রিমিয়ার লিগ। 

আন্তর্জাতিক বিরতির পর ফিরে আসা খেলোয়াড়দের ১০ দিনের জন্য জনসাধারণ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা রাখা হবে এবং তাদের ক্লাবের হয়ে অনুশীলন বা খেলার জন্য কোয়ারেন্টিন ছেড়ে বের হওয়ার ক্ষেত্রে ‘গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য প্রশমন এবং প্রোটোকল’ অনুসরণ করা হবে। 

তবে নতুন এই নিয়মে খুব একটা সন্তুষ্ট নন লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। কোয়ারেন্টিন নিয়মের এই শিথিলতা কতোটা কাজে আসবে, শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন লম্বা সময়ে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে খেলোয়াড়দের মানসিক অবস্থা নিয়ে।

"একজন নিজেই হোটেল বেছে নিতে পারেন, কিন্তু তার রুমের দরজার সামনে খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে। কারো সঙ্গে সে দেখা করতে পারবে না। এটিই যদি সমাধান হয়, আমি জানি না ভাবনাটা কোথা থেকে আসছে।”

“এর মানে হলো, খেলোয়াড়রা যারা জাতীয় দলের হয়ে খেলার জন্য ১০-১২ দিনের জন্য যাবে, তারপর কোয়ারেন্টিনের জন্য তারা তাদের পরিবার থেকে আরও ১০ দিন দূরে থাকবে। এই হলো ২২ দিন! এর দুই সপ্তাহ পর পরের আন্তর্জাতিক বিরতি আছে। এটা আমার কাছে ভালো কোনো সমাধান মনে হচ্ছে না।"