ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচে ভিয়ারিয়ালকে ২-১ গোলে হারায় স্বাগতিকরা। ১-১ গোলে সমতায় থাকা ম্যাচের যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে দর্শনীয় গোলে ইউনাইটেডকে জয় এনে দেন আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদো।
এই গোলের আগে ম্যাচে তিনি ছিলেন নিজের ছায়া হযে। কিন্তু ক্যারিয়ার জুড়ে বড় মঞ্চে ও দলের প্রয়োজনে নিজেকে বারবার প্রমাণ করা রোনালদো আরেকবার দেখিয়ে দিলেন তার ঝলক। ৯৫তম মিনিটে ডি-বক্সে জেসি লিনগার্ডের ফিরতি পাস পেয়ে দুরূহ কোণ থেকে জোরালো শটে ব্যবধান গড়ে দেন প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা।
সুলশারের কাছে পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলারের এমন মোক্ষম সময়ে জ্বলে ওঠাটা মোটেও বিস্ময়কর নয়। সাবেক সতীর্থকে বহু বছর ধরে কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা থেকে তিনি জানেন, শক্ত মানসিকতার অধিকারী রোনালদো কখনই হাল ছেড়ে দেন না। শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার মানসিকতার জোরেই পর্তুগাল অধিনায়ক বারবার নায়ক হয়ে ওঠেন বলে মত তার।
"সে এমনটা অনেকবার করেছে। এক মাস আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে (পর্তুগালের হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব) সে একটি পেনাল্টি মিস করেছিল, ম্যাচে বলও খুব বেশি স্পর্শ করেনি; কিন্তু তারপর শেষ কয়েক মিনিটে হেড থেকে দুটি দুর্দান্ত গোল করেছিল। সে সুযোগ পেলেই গোল করে, যা খুব ভালো ফিনিশারের ধরন।”
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইয়াং বয়েজের কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল ইউনাইটেড। যোগ করা সময়ে গোল হজম করে সেই ম্যাচে মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখতে হয়েছিল সুলশারের দলকে। তাই রোমাঞ্চকর এই জয় তাদের উজ্জীবিত করবে বলে বিশ্বাস ৪৮ বছর বয়সী এই কোচের।
“বার্নের (ইয়াং বয়েজের ঘরের মাঠে) ম্যাচটি শেষ মুহূর্তে হারার পর এভাবে ম্যাচ জেতাটা অবশ্যই খেলোয়াড়দের জন্য বিশাল ব্যাপার, এটি দুর্দান্ত।"
"দুটি ড্রয়ের চেয়ে আমি একটি জয় ও একটি হার বেছে নিব।"
দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে আছে আতালান্তা। ইয়াং বয়েজ ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পয়েন্ট সমান ৩ করে। চার নম্বরে ভিয়ারিয়ালের পয়েন্ট ১।