খেলোয়াড়রা আমার পাশে আছে: কুমান

দুঃসময়ের চক্রে ঘুরপাক খাচ্ছে বার্সেলোনা। একের পর এক বাজে পারফরম্যান্সে দল হয়ে দাঁড়িয়েছে যেন গৌরবময় অতীতের কঙ্কাল। কোচ রোনাল্ড কুমানের ওপর চাপও বাড়ছে আরও। বার্সেলোনায় এই ডাচ কোচের শেষের ছবি দেখছেন অনেকেই। তিনি নিজে অবশ্য দাবি করছেন, দলের ফুটবলাররা তার পাশেই আছে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Sept 2021, 04:44 AM
Updated : 30 Sept 2021, 11:31 AM

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে বুধবার বেনফিকার কাছে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয় বার্সেলোনা। আসরের প্রথম ম্যাচে তারা একই ব্যবধানে হেরেছিল বায়ার্ন মিউনিখের কাছে।

সেই ১৯৭২-৭৩ মৌসুমের পর ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় প্রথম দুই ম্যাচে হারল তারা। লা লিগায়ও তাদের অবস্থা সুবিধের নয়। ৬ ম্যাচে মোটে ১২ পয়েন্ট নিয়ে কুমানের দল আছে পয়েন্ট তালিকার ৬ নম্বরে।

সব মিলিয়ে কুমানের বার্সেলোনা অধ্যায়ে দুর্যোগের মেঘ ঘনীভূত হচ্ছে প্রবলভাবে। এমন সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও ফুটবল বিশ্বে দাপট দেখানো ক্লাবের এই দুর্দশায় কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে কোচকে।

বেনফিকার কাছে হারার পর কুমান অবশ্য বললেন, অতীতের সঙ্গে তুলনায় গিয়ে তিনি হাহাকার করতে চান না। তবে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার কিছুটা তার কণ্ঠে ফুটে উঠল বটে।

“আমার দলের সামর্থ্য নিয়ে তর্ক করতে যাব না আমি। এই বার্সেলোনার সঙ্গে আগের বার্সেলোনার তুলনার কোনো অর্থই নেই। এটা পানির মতো পরিষ্কার।”

“আমি কেবল ক্লাবে নিজের কাজের ব্যাপারেই মতামত দিতে পারি। আমি অনুভব করি, খেলোয়াড়রা আমার পাশে আছে, তাদের মানসিকতাও। বাকিটা, ক্লাব... আমি নিশ্চিত নই। কারণ আমি জানি না, ক্লাব এই ক্ষেত্রে কী ভাবছে। এটা আমার হাতে নেই।”

বেনফিকার কাছে এভাবে উড়ে যাওয়ার পেছনে বার্সেলোনা কোচ দায় দিলেন সুযোগ নষ্ট করাকে।

“এই ফলাফল হজম করা কঠিন এবং মাঠে যা দেখি, তার প্রতিফলন এতে পড়ছে না। যদিও আমরা শুরুতে পিছিয়ে পড়েছি, তার পরও ২-০ হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা ভালো খেলেছি। গোল করার বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছি আমরা, কিন্তু নিতে পারিনি।”

“খেলাটা এভাবেই বদলে যায়। তারা তিনটি সুযোগ সৃষ্টি করে প্রতিটিতেই যদি গোল করে এবং আমরা না পারি, তখন দুই দলের মধ্যে বড় পার্থক্যই হয়।”