২০১৮ সালে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ইউভেন্তুসে যোগ দেন রোনালদো। ইতালিয়ান দলটির হয়ে তিন মৌসুমে ১৩৪ ম্যাচ খেলে তিনি গোল করেন ১০১টি। জেতেন দুটি সেরি আ ও একটি করে ইতালিয়ান কাপ ও ইতালিয়ান সুপার কাপের শিরোপা।
অনেক গুঞ্জনের পর গত গ্রীষ্মের দলবদলে ইউভেন্তুস থেকে পুরনো ঠিকানা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ফেরেন পাঁচবারের বর্ষসেরা এই ফুটবলার। সম্প্রতি ক্রীড়া ওয়েবসাইট দা আথলেতিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তুরিনে রোনালদোর প্রভাবের কথা তুলে ধরেন বোনুচ্চি।
“রোনালদোর উপস্থিতি আমাদের ওপর একটি বড় প্রভাব ফেলেছিল। শুধু তার সঙ্গে অনুশীলন করা আমাদের বাড়তি কিছু দিয়েছিল, কিন্তু অবচেতনভাবে খেলোয়াড়রা ভাবতে শুরু করেছিল যে, কেবল তার উপস্থিতিই ম্যাচ জেতার জন্য যথেষ্ট।”
খেলোয়াড়রা তাদের প্রতিদিনের কাজও কমিয়ে দিয়েছিল বলে জানালেন বোনুচ্চি।
“দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে পড়ছিলাম…সতীর্থের জন্য খেলার স্বদিচ্ছা দিনের পর দিন কমছিল। গত কয়েক বছর ধরে, আমার মনে হয় আমরা সেটা দেখতে পেয়েছি।”
গত মৌসুমে সেরি আয় ইউভেন্তুসের টানা নয় বছরের আধিপত্য ভেঙে শিরোপা জেতে ইন্টার মিলান। কোনোমতে চারে থেকে লিগ শেষ করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করে নেয় তারা। তবু ইতিবাচক কিছু দেখছেন বোনুচ্চি।
“গত মৌসুমে আমরা চারে থেকে লিগ শেষ করেছি এবং ইতালিয়ান কাপ জিতেছি। কারণ, আমরা আবার একটি দল হিসেবে গড়ে উঠছি।”
ড্রেসিংরুমে একটা বিষয়ের অভাব তারা বোধ করেছেন বলে জানালেন অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডার।
“যদি ম্যাচের আগে ড্রেসিংরুমে এমন কিছু করা হতো, যেটা খেলোয়াড়দের মধ্যে তাড়না যোগায়। আমরা এটার অভাব বোধ করেছি। হয়তো এমনটা মনে হয়েছিল যে, আমরা যদি রোনালদোকে বল দেই তাহলে সে আমাদের ম্যাচ জেতাবে।”
“কিন্তু রোনালদোকে আমাদের যতটা প্রয়োজন ছিল, ততটা প্রয়োজন ছিল দলের। ভারসাম্য এমন হওয়া উচিত। কারণ দল খেলোয়াড়কে উপরে তোলে, সে যদি বিশ্বের সেরাও হয়।”