লা লিগায় কাম্প নউয়ে রোববারের ম্যাচটিতে ৩-০ গোলে জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। ১০ মাস পর ফেরার উপলক্ষ গোল করে রাঙিয়েছেন তরুণ ফরোয়ার্ড আনসু ফাতি।
তাদের অন্য দুটি গোল করেন মেমফিস ডিপাই ও লুক ডি ইয়ং। সাম্প্রতিক সময়ে মাঠে ও মাঠের বাইরে নানা ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়া বার্সেলোনার জন্য এমন একটি জয় ভীষণ দরকার ছিল।
আগের ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় কোচ রোনাল্ড কুমান ছিলেন না টাচলাইনে। তবে এর প্রভাব পড়েনি তাদের পারফরম্যান্সে।
পুরো ম্যাচ জুড়েই আক্রমণের পর আক্রমণে প্রতিপক্ষকে ব্যস্ত রাখে তারা। বেশ কিছু সহজ সুযোগ নষ্ট না হলে ব্যবধানটা হতে পারত আরও বড়। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে স্ক্রয়ডার জানালেন, দল নিয়ে তার সন্তুষ্টির কথা।
"আমরা এই রকম আরও অনেক ম্যাচ খেলেছি, শুধু এটিই নয়। আজকে (রোববার) পরিকল্পনা সত্যিই ভালো কাজ করেছে। স্টেডিয়াম ছিল প্রানশক্তিতে ভরপুর এবং (ক্লাবের সঙ্গে) জড়িত সকলের জন্য একটি দুর্দান্ত দিন কাটল।"
"আমরা আজ দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছি, খেলোয়াড়রা নিজেদের সেরাটা দিয়েছে।”
চোট কাটিয়ে গত বছরের নভেম্বরের পর এই ম্যাচ দিয়েই প্রথম মাঠে নামেন ফাতি। ৮১তম মিনিটে বদলি হিসেবে নামার পর যোগ করা সময়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে দর্শনীয় গোলে সমর্থকদের আনন্দে ভাসান এই স্প্যানিয়ার্ড।
“আমরা জানি, সে দুর্দান্ত খেলোয়াড়। তার ব্যক্তিগত প্রতিভাগুলো আমাদের দরকার এবং আমরা জানি, সে কী করতে সক্ষম। আমরা তাকে আবার ফিরে পেয়ে খুশি।"
"আনসু ফেরাটা দলের জন্য দারুণ ব্যাপার। কিন্তু অন্য খেলোয়াড়দের অবদানের কথা ভুলে গেলে চলবে না। গাভি ও নিকোর (গনসালেস) মতো তরুণরাও দারুণ খেলেছে এবং সমর্থকরা খুব খুশি।"
চোট সমস্যায় এখনও মাঠের বাইরে আছেন স্প্যানিশ দলটির আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। সেই তালিকায় আগে থেকেই আছেন উসমান দেম্বেলে ও দলে নতুন যোগ দেওয়া সের্হিও আগুয়েরো। আর সম্প্রতি চোট পেয়ে ছিটকে যান পেদ্রি, জর্দি আলবা ও মার্টিন ব্রাথওয়েট।
স্ক্রয়ডারের বিশ্বাস, এসব খেলোয়াড়রাও ফিরলে বড় সাফল্যের জন্য লড়তে পারবে তাদের দল।
"আমি মনে করি, সবাই ফিট থাকলে আমরা দুর্দান্ত এক দল হয়ে উঠব। এই মুহূর্তে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে যারা খেলছে তারা যেন তাদের শতভাগ উজাড় করে দেয়।”
"পেদ্রি শীঘ্রই ফিরে আসবে। আর সবাই ফিরলে আমাদের দলটি সত্যিকারের এক বিপজ্জনক দল হবে।"
ছয় ম্যাচে তিনটি করে জয় ও ড্রয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে উঠেছে বার্সেলোনা। সাত ম্যাচ ১৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ।