গত নভেম্বরে চোট পাওয়ার আগে ছিলেন দারুণ ছন্দে। এতো লম্বা সময় বাইরে থাকতে হবে, শুরুতে বোঝা যায়নি। একাধিকবার অস্ত্রোপচারের পর রোববার লেভান্তের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শেষ পর্যন্ত ১০ মাস পর খেলতে পারলেন কোনো ম্যাচ।
৮১তম মিনিটে বদলি নামেন ফাতি। সংক্ষিপ্ত এই সময়েই আভাস লম্বা বিরতিতে মরচে পড়েনি এতটুকু। আগের মতোই ধারাল আছেন তিনি, ডি-বক্সের আশেপাশে ভয়ঙ্কর।
এমন একজনের অভাব কিছু দিন ধরে প্রবলভাবে অনুভব করছে বার্সেলোনা। লিওনেল মেসির ১০ নম্বর জার্সি পাওয়া ফাতি এলেন সমাধান হয়ে। ৩-০ ব্যবধানের জয়ে করেন তৃতীয় গোলটি। ডি-বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে মাতেন উল্লাসে।
তিন ম্যাচ পর জয়, ফাতির গোল, সব মিলিয়ে বার্সেলোনার জন্য দিনটি যেন প্রাপ্তির। গ্যালারিতে ছিলেন ফাতির স্বজনরা। ভক্তদের সঙ্গে গোল উদযাপনে মেতেছিলেন তারাও।
ম্যাচ শেষে কঠিন সময়ে তার পাশে থাকা সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন ফাতি।
“এমন ফেরা আমি কল্পনাও করিনি। চিকিৎসক ও ফিজিওদের ধন্যবাদ জানাই, যারা আমার সঙ্গে এই সময়ে ছিল। ভক্তদেরও ধন্যবাদ জানাই, যারা ছিলেন অবিশ্বাস্য।”