দুই দিনের প্রচণ্ড তাপদাহের পর শনিবার দুপুরে বৃষ্টি হয়। তাতে স্বস্তি ফিরলেও সংস্কার চলা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম অনুশীলনের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। নির্ধারিত ভেন্যু বদলে ব্রুসন দল নিয়ে প্রস্তুতি সারেন কমলাপুলের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামের টার্ফে।
রক্ষণাত্মক কৌশল থেকে বেরিয়ে আক্রমণাত্মক খেলার কথা দায়িত্ব নেওয়ার পরই বলেছিলেন ব্রুসন। সে লক্ষ্যেই কুইক পাস, এরিয়াল পাসের মাধ্যমে রক্ষণ-মাঝমাঠ হয়ে আক্রমণে ওঠার ছক নিয়ে কাজ করছেন তিনি। কৌশলের পরিবর্তন নিয়ে পরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন দলের সহকারী কোচ মাহাবুব হোসেন রক্সি।
“ম্যাচে আমরা যেন এলোমেলে পাস না দেই, অযথা লং পাস না দেই। তাড়াহুড়ো না করে বরং সময় নিয়ে, দেখেশুনে আমরা যেন ঠিকঠাকভাবে পাসিং ফুটবল খেলে ডিফেন্স থেকে মাঝমাঠ, মাঝমাঠ থেকে আক্রমণভাগে উঠতে পারি; এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা হয়েছে।”
এবারের আসরে চার প্রতিপক্ষের মধ্যে শ্রীলঙ্কা (২০৫তম) কেবল ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের (১৮৮তম) চেয়ে পিছিয়ে। বাকি তিন দল ভারত (১০৫তম), মালদ্বীপ (১৫৮তম) ও নেপাল (১৬৮তম) এগিয়ে।
আগামী ১ অক্টোবর মালদ্বীপে শুরু হতে যাওয়া এই প্রতিযোগিতায় উদ্বোধনী দিনেই বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কার। শুরুতে র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকা প্রতিপক্ষকে পাওয়া কিছুটা স্বস্তির বলে জানালেন রক্সি। তবে সাফ যে নিজেদের জন্য বরাবরই ভীষণ চ্যালেঞ্জিং, মনে করিয়ে দিলেন সেটাও।
“সাফ আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। প্রতিপক্ষরা আমাদের চেয়ে শক্তিশালী-এভাবে ভাবছি। তবে সূচিতে আমাদের জন্য একটা সুবিধা আছে। আমাদের প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, তাই আমরা ধাপে ধাপে, প্রতিপক্ষ কে-এসব ভেবে এগোবো।”
“অবশ্যই ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি সবচেয়ে কঠিন। র্যাঙ্কিং ও শক্তি, সব দিক থেকে আরও ভালো অবস্থায় আছে তারা। মালদ্বীপও কঠিন প্রতিপক্ষ হবে; কেননা, তারা নিজেদের মাঠে খেলার সুবিধা পাবে। কন্ডিশন, মাঠ, সবকিছু তাদের পক্ষে থাকবে; তাই মালদ্বীপও কঠিন দল।”