জিকো-সোহেল-রানার ‘কমিউনিকেশন স্কিলে’ জোর

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরুর আগে তিন গোলরক্ষকের সঙ্গে স্রেফ ছয়টি সেশন কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন নুরুজ্জামান নয়ন। এই অল্প সময়ে বড় কোনো পরিবর্তনের পক্ষে নন তিনি। গোলরক্ষকদের এই কোচ জোর দিচ্ছেন আনিসুর রহমান জিকো, শহিদুল আলম সোহেল ও আশরাফুল ইসলাম রানাদের যোগাযোগের দক্ষতা বাড়ানোর দিকে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Sept 2021, 02:05 PM
Updated : 24 Sept 2021, 02:05 PM

জেমি ডেকে ‘ছুটি’ দিয়ে অস্কার ব্রুসনকে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য দায়িত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। ফলে জাতীয় দলের কোচিং স্টাফেও এসেছে পরিবর্তন। জেমি না থাকায় কাজ চালিয়ে যেতে রাজি হননি আগের গোলকিপিং কোচ লেস ক্লিভেলি। কিংসের গোলকিপিং কোচ নয়ন ফিরেছেন এ দায়িত্বে।

প্রাথমিক দলে থাকা তিন গোলরক্ষকের সঙ্গে ২০১৮ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ও বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে নয়নের। কিংসে পেয়েছেন জিকোকে। ফলে তিন জনের সম্পর্কে জানাশোনা আছে ৪১ বছর বয়সী এই কোচের।

“সাফের আগে আমরা অনুশীলনের জন্য মাত্র ছয়টা সেশন পাচ্ছি। আমার একটা সুবিধা হচ্ছে, এই তিন জনের সঙ্গে আমি আগেও জাতীয় দলে কাজ করেছি, ওদের শক্তি ও দুর্বলতা জানা আছে। সম্প্রতি ওরা যে ম্যাচগুলো খেলেছে, সেখানে ওদের কোথায় দুর্বলতা আছে, সেটা দেখেছি। আমি চেষ্টা করছি, এই অল্প সময়ের মধ্যে ওই দর্বলতা কীভাবে শক্তিতে রূপ দেওয়া যায়।”

“দায়িত্ব পাওয়ার পরই আমি তিন গোলরক্ষকের সঙ্গে ছোট একটা মিটিং করেছি। ২০১৮ সালে সবশেষ বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে ওদের সঙ্গে কাজ করেছিলাম। এরপর (সোহেল ও রানার সঙ্গে) কাজ করা হয়নি। মিটিংয়ে জানিয়েছি, আমি তাদের কাছ থেকে কি ধরনের গোলকিপিং আশা করছি। আমার এবং কোচের যে ফুটবল দর্শন আছে, সে স্টাইল আছে, তার সঙ্গে ওরা আরও মানিয়ে নিতে পারবে, সেটা নিয়ে কথা বলেছি। যে তিনজন আছে, তাদের মধ্যে যে সবচেয়ে বেশি এগুলোর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে, সে তুলনামূলকভাবে আরও ভালো করতে পারবে।”

জেমি দলকে খেলাতেন রক্ষণাত্মক কৌশলে। ব্রুসন চেষ্টা করছেন আক্রমণাত্মক খেলানোর। লিগে কিংসের বিল্ড-আপ গেমে গোলরক্ষক জিকো পালন করতেন ভালো ভূমিকা। নয়নের বিশ্বাস যোগাযোগের দক্ষতা বাড়লে সাফে গোলরক্ষকদের পারফরম্যান্সও ভালো হবে আগের চেয়ে।

“একটা দিকের উন্নতির মাধ্যমে ওদের পারফরম্যান্স আরও ভালো করা যায় বলে আমি মনে করি। সেটা হচ্ছে, কমিউনিকেশন স্কিলের উন্নতি। আমার পায়ে বল থাকলে আমি কীভাবে কমিউনিকেট করব, প্রতিপক্ষের পায়ে থাকলে কীভাবে করব, সেটা। এছাড়া ট্রানজিশন পিরিয়ডে ডিফেন্ডিং অ্যান্ড অ্যাটাকিং… এই সব ক্ষেত্রে যদি যোগাযোগের দক্ষতা বাড়ানো যায়, আমার মনে হয় ওদের পারফরম্যান্স আরও ভালো হবে।”

কিংসের কোচ, কোচিং স্টাফদের জাতীয় দলেও পাচ্ছেন জিকো। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের প্রস্তুতি শেষে এই গোলরক্ষক জানালেন, কোনো পার্থক্য অনুভব করছেন না তিনি। সবাই ব্রুসনের কৌশলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে বলেও মনে করেন ২৪ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক।

“ব্রুসন অনেক দিন ধরেই দক্ষিণ এশিয়াতে কাজ করছে। ভারত, মালদ্বীপে কাজ করেছে। বাংলাদেশে তিন বছর ধরে আছে। এই অঞ্চলের খেলার ধরণ কেমন, সেটা সে জানে। প্রতিপক্ষরা কেমন, সেটা ধরেই কাজ করছে। আমরা এখন হঠাৎ করে সবকিছু বদলাতে পারব না। যেহেতু সময় কম।”

“আমাদের সবারই লক্ষ্য ম্যাচ বাই ম্যাচ জয়ের জন্য ভাবা। যেহেতু লিগ পদ্ধতিতে খেলা হবে, কোচ বলেছেন, আমরা যেভাবে ক্লাবের ফুটবলে পজিশন ধরে রেখে খেলি, সাফেও যেন সেভাবে খেলতে পারি, সেই চেষ্টা করছি। অনুশীলনও সেভাবে চলছে।”

১ অক্টোবর মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে শুরু হবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ত্রয়োদশ আসর। দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতায় ২০০৩ সালে প্রথম এবং সবশেষ শিরোপার স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ।