মেসের মাঠে বুধবার রাতে লিগ ওয়ানের ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে পিএসজি। লিঁওর বিপক্ষে আগের ম্যাচেও যোগ করা সময়ের গোলে জিতেছিল প্যারিসের দলটি।
লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে প্রথম সাত রাউন্ডে এটি পিএসজির টানা সপ্তম জয়। আর মেসের বিপক্ষে তারা জিতল টানা ১১ ম্যাচ।
ম্যাচে ৭৪ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য পিএসজি শট নেয় ১৫টি, যার পাঁচটি লক্ষ্যে। মেসের ছয় শটের দুটি লক্ষ্যে ছিল।
যোগ করা সময়ে একজন খেলোয়াড় লাল কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় মেস। এই ঘটনায় লাল কার্ড দেখে তাদের কোচও।
এক মিনিট পরই দ্বিগুণ হতে পারত ব্যবধান। নেইমারের পাস ডি-বক্সে পেয়ে উড়িয়ে মারেন কিলিয়ান এমবাপে। তিন মিনিট পর আরেকটি সুযোগ পান এই ফরাসি তারকা। নেইমারের পাস ধরে এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে কাটাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার পা থেকে বল কেড়ে নেন আলেকসান্দ্রে ওদিকজা।
পরের সাত মিনিটে এমবাপে ও ইকার্দি সুযোগ হাতছাড়া করেন আরও দুটি। গোলরক্ষক বরাবর মারেন এমবাপে। ইকার্দি ধরে রাখতে পারেননি বলের নিয়ন্ত্রণ।
২৪তম মিনিটে অল্পের জন্য বেঁচে যায় পিএসজি। ডান দিক থেকে সতীর্থের ক্রসে ডি-বক্সে এনদিয়াগা ইয়াদের ওভারহেড কিকে পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে যায় বল।
৩৯তম মিনিটে সমতায় ফেরে মেস। কর্নার থেকে আসা বলে জোরালো হেডে গোলটি করেন মালির ফুটবলার বুবাকার কুয়াইৎ।
৫৪তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পান নেইমার। স্বদেশী মার্কিনিয়োসের ক্রসে ডি-বক্সে বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। চার মিনিট পর ২০ গজ দূর থেকে তার নেওয়া শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
৬৬তম মিনিটে নেইমারের ক্রস ডি-বক্সে বুক দিয়ে নামিয়ে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি হাকিমি। ৮৫তম মিনিটে দূর থেকে এমবাপের লব শেষ মুহূর্তে ফেরান গোলরক্ষক।
ড্রয়ের পথেই এগোচ্ছিল ম্যাচ। কিন্তু যোগ করা সময়ে বদলে যায় চিত্র। ৯১তম মিনিটে অযথা বলে লাথি মেরে সময় ক্ষেপণের জন্য দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মেসের ডিফেন্ডার ডিলান ব্রন। রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে লাল কার্ড দেখেন দলটির কোচও।
সাত ম্যাচে শতভাগ সাফল্যে ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পিএসজি। এক ম্যাচ কম খেলে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে মার্সেই।
পিএসজির সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট করে নিয়ে অঁজি তিনে, লঁস চারে ও লরিয়ঁ পাঁচ নম্বরে আছে।