কিংসলেকে নিয়ে ২৭ জনের প্রাথমিক দল

অনিশ্চয়তাকে সঙ্গী করেই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ দলে ঠাঁই পেয়েছেন এলিটা কিংসলে। নাইজেরিয়া ছেড়ে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়া এই ফরোয়ার্ডকে নিয়ে ২৭ সদস্যের প্রাথমিক দল দিয়েছেন কোচ অস্কার ব্রুসন।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Sept 2021, 11:20 AM
Updated : 22 Sept 2021, 02:39 PM

২০১৯ সালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে সবশেষ খেলা আবাহনী লিমিটেডের ফরোয়ার্ড জুয়েল রানাও ফিরেছেন দলে।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) প্রেস কনফারেন্স কক্ষে বুধবার দল ঘোষণা করেন ব্রুসন। দলে প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের আছেন সর্বোচ্চ ১০ জন; আবাহনী লিমিটেডের ছয় জন, সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের চার ও চট্টগ্রাম আবাহনীর দুই জন। এছাড়া শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র ও উত্তর বারিধারার একজন করে আছেন প্রাথমিক দলে।

দুপুরে ব্রুসন ২৬ জনের দল ঘোষণা করলেও রাতে যোগ হয় আরও একজন। আবাহনীর ১৯ বছর বয়সী ডিফেন্ডার মোহাম্মদ হৃদয় নতুন মুখ হিসেবে জায়গা পেয়েছেন দলে।

আগামী ১ অক্টোবর মালদ্বীপে শুরু হবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ত্রয়োদশ আসর। এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে অনুশীলন। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মালদ্বীপে রওনা দেওয়ার আগেই ২৩ জনের চূড়ান্ত দল দিবেন ব্রুসন।

গত মার্চে বাংলাদেশের পাসপোর্ট পেলেও ফিফা ও এএফসির ছাড়পত্র না পাওয়ায় কিংসের হয়ে এএফসি কাপে খেলতে পারেননি কিংসলে। ৩১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড এখনও ছাড়পত্র পাননি। প্রাথমিক দলে থাকলেও তার সাফে খেলা নিয়ে অনিশ্চত ব্রুসন।

“এই তালিকায় এলিটা আছে। জানি না, সে খেলতে পারবে কিনা। তাই এর মধ্যে বিকল্প পরিকল্পনা করে রেখেছি। একজনের উপর নির্ভর না করে স্ট্রাইকিং পজিশনে এমন দুজনকে বাছাই করতে চাই, যারা গোল এনে দিতে পারবে।”

সদ্য শেষ হওয়া লিগে স্থানীয় ফরোয়ার্ডদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ গোল করেন জুয়েল। আবাহনীর এই ফরোয়ার্ড জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ খেলেন ২০১৯ সালে; বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে সল্টলেকের ১-১ ড্র ম্যাচে।

গত মার্চে নেপালের ত্রিদেশীয় সিরিজে সবশেষ খেলা টুটুল হোসেন বাদশা ফিরেছেন দলে। বিশ্বকাপ বাছাই ও কিরগিজস্তানের ত্রিদেশীয় আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টে দলে ছিলেন না আবাহনীর এই ডিফেন্ডার।

সেই টুর্নামেন্টে খেলা দুই প্রবাসী নাইব মোহাম্মদ তাহমিদ ইসলাম ও রাহবার ওয়াহেদ খানের কেউ জায়গা পাননি প্রাথমিক দলে।

২০০৩ সালের সাফের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ ২০০৫ সালে হয়েছিল রানার্সআপ। এরপর থেকেই শুরু পেছনের দিকে ছুটে চলা। পরের চার আসরেই সঙ্গী হয় গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার বিষাদ।

দল ঘোষণা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে কাজ শুরু করলেন ব্রুসন। জেমি ডেকে দুই মাসের ‘ছুটি’ দিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সপ্তাহ দুয়েক আগে বসুন্ধরা কিংসের এই কোচকে দায়িত্ব দেয় বাফুফে।

২৭ জনের প্রথম দল: আনিসুর রহমান, বিশ্বনাথ ঘোষ, তপু বর্মন, কাজী তারিক রায়হান, বিপলু আহমেদ, মাহবুবুর রহমান সুফিল, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, এলিটা কিংসলে, মতিন মিয়া, আতিকুর রহমান ফাহাদ, শহিদুল আলম সোহেল, সোহেল রানা, সাদ উদ্দিন, জুয়েল রানা, টুটুল হোসেন বাদশা, রহমত মিয়া, রিয়াদুল হাসান রাফি, ইয়াসিন আরাফাত, জামাল ভূইয়া, রাকিব হোসেন, মানিক হোসেন মোল্লা, রেজাউল করিম, মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান, আশরাফুল ইসলাম রানা, মেহেদী হাসান, সুমন রেজা ও মোহাম্মদ হৃদয়।