আনসু ফাতি, উসমান দেম্বেলে, সের্হিও আগুয়েরো, পেদ্রি, জর্দি আলবা, মার্টিন ব্রাথওয়েটসহ কয়েকজন খেলোয়াড় চোটের জন্য বাইরে থাকায় একাদশ সাজাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে কুমানকে। স্বাভাবিকভাবেই খেলার ধরনে পরিবর্তন আনতে হচ্ছে বার্সেলোনা কোচকে।
কাম্প নউয়ে সোমবার রাতে লা লিগায় গ্রানাদার বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করা ম্যাচে নিজেদের প্রথাগত ছোট-ছোট পাসে খেলেনি বার্সেলোনা। ম্যাচ শেষে ঐতিহ্য থেকে সরে এসে নতুন ধরনে খেলার সাফাই গাইলেন কুমান।
“খেলার ধরনে আমাদেরকে কিছুটা আপোস করতে হয়েছে ফলাফল পাওয়ার জন্য, মাঝ মাঠে খেলার বদলে ক্রসের মাধ্যমে খেলে। এই ম্যাচের দলের দিকে তাকালে দেখা যায়, আমরা এই ধরনের খেলাটাই কেবল খেলতে পারতাম।”
প্রথমার্ধে গ্রানাদার ডি-বক্সে মোট ১৮টি ক্রস করে বার্সেলোনা। তবে এর একটাও কাজে লাগাতে পারেনি তারা।
শুরুতে এগিয়ে যাওয়ার পর নিজেদের অর্ধেই গুটিয়ে ছিল গ্রানাদা। অনেকটা সময় ২১ জন খেলোয়াড় ছিলেন তাদের অর্ধেই। দ্বিতীয়ার্ধে কয়েকবার প্রায় মাঝমাঠে এগিয়ে এসে সতীর্থদের দল বাড়িয়েছেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন।
আক্রমণাত্মক খেলার পরও গোলের দেখা পাচ্ছিল না বার্সেলোনা। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে গোল করে হার এড়ান ডিফেন্ডার রোনালদ আরাহো। লিগে ৪ ম্যাচে এটি তাদের দ্বিতীয় ড্র। ৮ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে টেবিলে সাত নম্বরে। শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ থেকে পিছিয়ে তারা পাঁচ পয়েন্টে। বার্সেলোনা অবশ্য এক ম্যাচ কম খেলেছে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ভরাডুবির পর লিগেও ভোগান্তি, কুমানের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উচ্চকিতই হচ্ছে কেবল। এদিন আবারও তিনি ব্যাখ্যা করলেন নিজের অবস্থান।
“আমি আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে আর কথা বলতে চাই না। আমরা সন্তুষ্ট নই, কারণ আমরা জিততে চাই, বিশেষ করে ঘরের মাঠে। তবে আমি যেটা বললাম, ম্যাচটি ছিল জটিল ও আমার মনে হয়, আমরা মাঠে সবটুকু দিয়েছি।”