জর্ডানের বিপক্ষে সেরাটা দেওয়ার প্রত্যয় সাবিনা-কৃষ্ণাদের

লিগ শেষে দেশে প্রস্তুতি নেওয়ার পর নেপালে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে সাবিন-কৃষ্ণারা। এবার এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের মূল লড়াইয়ে নামার অপেক্ষা। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন জানালেন, শক্তিশালী প্রতিপক্ষ জর্ডানের বিপক্ষে সেরাটা দিতে প্রস্তুত তার দল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Sept 2021, 12:49 PM
Updated : 18 Sept 2021, 01:46 PM

উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দের বুনিয়দকর স্টেডিয়ামে ‘জি’ গ্রুপের বাছাইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জর্ডানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে রোববার বাংলাদেশ সময় বেলা ৪টায়।

র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ঢের এগিয়ে জর্ডান। ফিফা প্রকাশিত সর্বশেষ র‌্যাঙ্কিংয়ে দলটি আছে ৬৩তম স্থানে। বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৭তম। তবে প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্টি থাকায় নিজেদের সেরাটা দেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী রব্বানী।

“জর্ডানের বিপক্ষে মেয়েরা তাদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত। আশা করছি, খুব ভালো একটা ম্যাচ দেশবাসীকে উপহার দিতে পারব। আমরা দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থী।”

“বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই মহামারীর সময়ে মেয়েদের প্রশিক্ষণের জন্য খেলার মাঠ ও আবাসনের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে। করোনার মধ্যেও আমাদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা হয়নি।  বাফুফে সবসময় মেয়েদের সকল সুযোগ সুবিধার কথা বিবেচনা করেছে, বিধায় আমাদের এই প্রতিযোগিতায় আসার পূর্ব প্রস্তুতির ক্ষেত্রে আমাদের কোনো অসুবিধা হয়নি।”

বাছাইয়ে বাংলাদেশ সবশেষ খেলেছিল ২০১৪ সালে। ২০১৮ সালে অংশ নেয়নি। সাত বছর আগে দেশের মাটিতে সেই অভিজ্ঞতা অবশ্য মোটেও সুখের ছিল না তাদের। সেবার থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ৯-০, ইরানের বিপক্ষে ২-০ এবং ফিলিপিন্সের কাছে ৪-০ গোলে হেরে গ্রুপের তলানিতে ছিল বাংলাদেশ।

নেপালে খেলা দুই প্রস্তুতি ম্যাচের কোনোটাই জিতেনি বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ২-১ গোলে হারের পর গোলশূন্য ড্র করেছিল দল। নেপালের প্রস্তুতি উজবেকিস্তানে কাজে লাগবে বলে মনে করেন কোচ।

“উজবেকিস্তানে আসার পূর্বে আমরা নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলেছি। এতে করে আমাদের মেয়েদের মাঠের ভুল ত্রুটিগুলো খুঁজে বের করে কাজ করার সুযোগ হয়েছে।”

প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।

“কয়েকটি ভালো সেশন হয়েছে। মেয়েরা এখানকার আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে। সবাই তৈরি আছে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ উপহার দেওয়ার জন্য।”