চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গত বুধবার রাতে ৯ গোলের ম্যাচে লাইপজিগকে ৬-৩ ব্যবধানে হারায় সিটি। ক্রিস্টোফার এনকুকুর হ্যাটট্রিকে লড়াইয়ে ছিল জার্মানির দলটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বড় জয়ে ইউরোপ সেরার আসরে শুভসূচনা করে গুয়ার্দিওলার দল।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে দলের জয়ে গোল করেন নাথান আকে, নঁদি মিকিয়েলে, মাহরেজ, গ্রিলিশ, জোয়াও কানসেলো ও গাব্রিয়েল জেসুস।
চাউর হওয়া বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে গ্রিলিশ ও মাহরেজকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গুয়ার্দিওলাকে হাত উঁচিতে, বারবার মাথা ঝাঁকিয়ে বোঝাতে দেখা গেছে। ম্যাচ শেষে গুয়ার্দিওলা বিটি স্পোর্টসকে জানান খেলোয়াড়রা রক্ষণের দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন না করায় মেজাজ হারিয়েছিলেন তিনি।
“দ্বিতীয়ার্ধের করণীয় নিয়ে বিরতির সময়ে আমরা কথা বলেছিলাম, কিন্তু তারা তা করেনি না। এ কারণেই ওই ঘটনা। এমনটা হয়ে থাকে।”
“লাইপজিগ খুবই ভালো দল। বিল্ড আপের সময় তারা চার খেলোয়াড় ব্যবহার করে আমাদের প্রলুব্ধ করছিল, হোল্ডিং মিডফিল্ডের পেছনে বেশি খেলোয়াড় থাকছিল না আমাদের। বল বেরিয়ে যাচ্ছিল এবং তারা পেছন থেকে খুব দ্রুতগতিতে আক্রমণে উঠছিল।”
গুয়ার্দিওলার মেজাজ হারানোর ঘটনা এবারই প্রথম নয়। বায়ার্ন মিউনিখের কোচ থাকাকালীন থিয়াগো আলকানতারাকে চড় মেরে শিরোনামে এসেছিলেন এই স্প্যানিশ কোচ।
গ্রিলিশ অবশ্য কোচকে সমালোচনার পথে হাঁটেননি। তার চাওয়াটাকে সহজভাবেই নেওয়ার কথা বিটি স্পোর্টসকে জানিয়েছেন।
“এটা স্রেভ রক্ষণ সামলানো সংক্রান্ত বিষয় ছিল। আমি এর বেশি ভেতরে যাব না, বলব না। কেননা, হয়ত সে সপ্তাহান্তে একই কৌশলে খেলতে বলবে।”
“কোচেরা এমনই। গুয়ার্দিওলা সবসময় রক্ষণে এবং আক্রমণে আরও বেশি চান এবং অবশ্যই তিনি এমন একজন যার কথা আমাকে শুনতে হবে। তিনি কেবল (ওই সময়) আমাদেরকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিচ্ছিলেন।”