চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেকে চার গোল করলেন সিবাস্তিয়া। প্রতিযোগিতাটির অভিষেকে প্রথম চার গোল করার কীর্তি গড়েছিলেন নেদারল্যান্ডসের ইতিহাসে সেরা ফুটবলারদের একজন মার্কো ফন বাস্তেন; ১৯৯২ সালে এসি মিলানের হয়ে ইয়েত্তেবরির বিপক্ষে।
পর্তুগালের ক্লাব স্পোর্তিং লিসবনের মাঠে বুধবার রাতে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে সিবাস্তিয়ার নৈপুণ্যে ৫-১ গোলে জেতে আয়াক্স।
চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ঘরোয়া লিগে চার ম্যাচে চার গোল করেছেন সিবাস্তিয়া। আর ইউরোপ সেরার মঞ্চে শুরুর ম্যাচেই করলেন চার গোল। তবে অগাস্টে মৌসুমের শুরুটা তিক্ত হয়েছিল তার ও তার দলের। মৌসুম শুরুর লড়াই ইয়োহান ক্রুইফ শিল্ডে পিএসভি আইন্দহোভেনের বিপক্ষে ৪-০ গোলে আয়াক্স বিধ্বস্ত হওয়ার ম্যাচে সিবাস্তিয়াকে দুয়ো দেয় তার দলের সমর্থকরাই।
কষ্টের সে স্মৃতি ভুলে কোত দি ভোয়ার এই খেলোয়াড় উপভোগ করতে চান তার রেকর্ড গড়া মুহূর্তটি।
"এটা আমার জীবনের সেরা ম্যাচ। এমন কিছুর (ম্যাচে চার গোল) কেবল স্বপ্নই দেখা যায়। এই ধরনের একটি ম্যাচের জন্য সারা জীবনও অপেক্ষা করা যায়।"
"সবারই উচিত এই ধরনের ম্যাচ উপভোগ করা, এগুলো চমৎকার স্মৃতি। আমাকে গোল করতেই হতো, শুধু নিজের জন্য নয়, কিন্তু দলের ও সমর্থকদের জন্যও।"
গত মৌসুমে প্রশাসনিক ত্রুটির কারণে ইউরাপা লিগের নকআউট পর্বের জন্য আয়াক্সের দেওয়া খেলোয়াড়দের তালিকা থেকে তার নাম বাদ পড়েছিল। ফলে সাইডলাইনে বসেই তাকে দেখতে হয় দলের খেলা। সেই অপেক্ষা তার ভেতর বিশেষ কিছু করার তাড়না বাড়িয়ে দিয়েছিল বলে জানালেন ২৭ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
"এতে আরও ভালো পারফর্ম আগ্রহ বেড়ে যায়।"
ক্লাবের ইতিহাসের রেকর্ড ট্রান্সফার ফির বিনিময়ে গত জানুয়ারিতে ওয়েস্ট হ্যাম থেকে আয়াক্সে যোগ দেন সিবাস্তিয়া। অসামান্য কীর্তি গড়ার পর কোত দি ভোয়ার এই ফরোয়ার্ডক প্রশংসায় ভাসান কোচ এগিক তেন হা।
"চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চার গোল….আমার কাছে এটি অসাধারণ। আমার মনে আছে, (মার্কো) ফন বাস্তেন এটি (৪ গোল) করেছিলেন। তিনি ফুটবলের বড় আইকনদের একজন এবং এটাই বলে দেয় অর্জনটা কতটা বড় ও ঐতিহাসিক।"