‘মেসি-নেইমার-এমবাপের একসঙ্গে জ্বলে উঠতে সময় লাগবে’

গর্জন ছিল অনেক, বর্ষণ হলো সামান্যই। লিওনেল মেসি, নেইমার, কিলিয়ান এমবাপেকে নিয়ে গড়া অবিশ্বাস্য এক আক্রমণভাগ পিএসজির। কিন্তু মাঠে তো নামের ধারে কাটে না! পারফরম্যান্সে তিনজনকে খুঁজে পাওয়া গেল না তেমন। দলও তাই হারাল পয়েন্ট। মাওরিসিও পচেত্তিনো অবশ্য হতাশায় নুয়ে পড়ছেন না। পিএসজি কোচের মতে, এই ত্রয়ীর একসঙ্গে আলো ছড়াতে সময় লাগবে আরও।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Sept 2021, 07:28 AM
Updated : 16 Sept 2021, 08:14 AM

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মৌসুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বুধবার বেলজিয়ামের ক্লাব ব্রুজের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে পিএসজি।

এই ম্যাচ দিয়েই নতুন ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অভিষক হয় মেসির। প্রথমার্ধে তার একটি শর্ট ক্রসবারে লেগে উড়ে যায়। এছাড়া বাকি সময়টায় ম্রিয়মান হয়েই থাকেন এই মহাতারকা। শেষ দিকে পান হলুদ কার্ড।

এমবাপে ম্যাচের শুরুর দিকে সহায়তা করেন আন্দের এররেরার করা গোলে। তবে এরপর তিনিও ছিলেন প্রায় নিষ্ক্রিয়। দ্বিতীয়ার্ধে চোট পেয়ে তিনি মাঠ ছাড়েন খুঁড়িয়ে। তিনজনের মধ্যে নেইমার ছিলেন সবচেয়ে হতাশাজনক।

ম্যাচের পর স্বাভাবিকভাবেই তাদের পারফরম্যান্স নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। কোচ পচেত্তিনো বলেন, সময়ই দেবে উত্তর।

“ওদের একসঙ্গে জ্বলে উঠতে সময় লাগবে। আরও অনেক কাজ করতে হবে। আমি তো আগেই পরিষ্কার বলেছি, আমরা এখনও একটা দল হয়ে উঠতে পারিনি। গুছিয়ে উঠতে সময় লাগবে আমাদের।”

আক্রমণভাগে আলোচিত এই ত্রয়ী একসঙ্গে মাঠে নামেন এ দিনই প্রথম। প্রত্যাশা আকাশচুম্বি হলেও প্রাপ্তি ছিল কমই। মাঠে পরস্পরকে খুঁজে পেতেই ধুঁকেছেন তারা। ক্লাব ব্রুজের আঁটসাঁট ফুটবলে তারা জায়গা বের করতে পারেননি যথেষ্ট। 

ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে হতাশার পাশাপাশি দলের পারফরম্যান্সেও প্রভাব পড়ে তাদের উপস্থিতি ও কৌশলের। মেসি ও নেইমার শুরু করেন ফ্লাঙ্কে, তাতে ফুলব্যাকরা উন্মুক্ত হয়ে পড়ে অনেকটাই। চোট পাওয়া মার্কো ভেরাত্তির অনুপস্থিতিতে তাদের মিডফিল্ড বলে কিছু যেন ছিলই না মাঠে। উজ্জীবিত ক্লাব ব্রুজ প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে দুর্দান্ত দলীয় সমন্বয় দেখিয়ে।

দলকে অনেক উন্নতি করতে হবে, মানছেন পচেত্তিনো। তবে পয়েন্ট হারালেও দলকে নিয়ে তিনি খুশি বলেই দাবি করলেন পিএসজি কোচ।

“আমাদের আরও ধারাবাহিক ও সাবলীল হতে হবে। অনেক বেশিই ভুল করেছি আমরা। তবে এতকিছুর পরও আমি ফুটবলারদের নিয়ে সন্তুষ্ট। আমাদের স্থির থেকে কাজ করে যেতে হবে।”