প্রতিপক্ষের মাঠে রোববার ৩-০ গোলে জিতেছে লিভারপুল। ম্যাচের শেষ আধা ঘণ্টা একজন কম নিয়ে খেলে লিডস।
দারুণ জয় মিললেও লিভারপুল কোচের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলতে পারে টিনএজার হার্ভে এলিয়টের চোট। দ্বিতীয়ার্ধে পায়ে আঘাত পেয়ে স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়েন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। তাকে ফাউল করেই লাল কার্ড দেখেন লিডসের ডিফেন্ডার।
লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে প্রথম দুই ম্যাচে জয়ের পর আন্তর্জাতিক বিরতির আগে চেলসির সঙ্গে ১-১ ড্র করেছিল লিভারপুল।
চতুর্থ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগটা পায় অবশ্য লিডস। রাফিনিয়ার পাস ডি-বক্সে খুঁজে পায় অরক্ষিত রদ্রিগোকে, কিন্তু গোলরক্ষক আলিসন বরাবর মেরে হতাশ করেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।
২০তম মিনিটে দারুণ এক গোছানো আক্রমণ থেকে এগিয়ে যায় লিভারপুল। ডি-বক্সের সামনে থেকে জোয়েল মাতিপের পাস ডান দিকে খুঁজে পায় ট্রেন্ট অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ডকে। তার বাড়ানো বলে কাছ থেকে পায়ের টোকায় ঠিকানা খুঁজে নেন সালাহ।
৩০তম খেলোয়াড় হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে ১০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করলেন সালাহ। তার (১৬২) চেয়ে কম ম্যাচে এই কীর্তি গড়তে পেরেছেন কেবল চার জন।
২৮তম মিনিটে দ্বিগুণ হতে পারত ব্যবধান। অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ডের ক্রসে ডি-বক্সে ভার্জিল ফন ডাইকের হেড গোললাইন থেকে ফেরান লিডস গোলরক্ষক। তিন মিনিট পর সালাহর পাসে মানের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দুটি সুযোগ হাতছাড়া করেন মানে ও সালাহ। পরক্ষণেই ব্যবধান বাড়ান ফাবিনিয়ো। কর্নার ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেনি স্বাগতিকরা। ফাবিনিয়োর প্রথম শট অবশ্য আটকে দিয়েছিল তারা, ফিরতি শটে জাল খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার।
বেশ কিছু সুযোগ নষ্টের পর যোগ করা সময়ে জালের দেখা পান মানে। জর্ডান হেন্ডারসনের ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মানেকে বাড়ান থিয়াগো। বাকিটা সারেন সেনেগালের ফরোয়ার্ড। প্রিমিয়ার লিগে তার গোল হলো ৯৯টি।
চার ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ দুইয়ে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও চেলসিকে স্পর্শ করেছে লিভারপুল। এখনও জয় না পাওয়া লিডস ২ পয়েন্ট নিয়ে ১৭তম স্থানে আছে।
সমান ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি।