স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে শনিবার রোমেলু লুকাকুর জোড়া গোলে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছে টমাস টুখেলের দল। এতদিন প্রিমিয়ার লিগে ছয়শ বা তারও বেশি জয়ের কীর্তি ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের একার। দ্বিতীয় দল হিসেবে বনেদী এই বৃত্তে ঢুকল চেলসি।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য খেলোয়াড় না ছাড়া নিয়ে লাতিন আমেরিকার দেশগুলো, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ও ফিফার মধ্যে টানাপোড়েন চলেছে কদিন ধরে। শেষ মুহূর্তে ওই জাতীয় দলগুলো অনড় অবস্থান থেকে সরে আসায় চেলসির হয়ে খেলতে পেরেছেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার চিয়াগো সিলভা। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে রিচ জেমসকে পায়নি চেলসি।
কোয়ারেন্টিনের বাধ্যবাধকতার কারণে অ্যাস্টন ভিলা খেলাতে পারেনি আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস ও মিডফিল্ডার এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়াকে।
বলের নিয়ন্ত্রণে চেলসি এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে আধিপত্য করে অ্যাস্টন ভিলা। ১২ শটের চারটি লক্ষ্যে রেখে তার তিনটিতেই সফল চেলসি। অন্যদিকে, ১৮ বার শট নেয় অ্যাস্টন যার ছয়টি লক্ষ্যে, কিন্তু সাফল্য আর মেলেনি।
প্রথমার্ধের প্রথম মিনিটে চেলসির আন্টোনিও রুডিগারের শট যায় পোস্টের বাইরে। তিন মিনিট পর অ্যাস্টন ভিলার এজরি কোনসার হেডও হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট।
অষ্টাদশ মিনিটে ওলি ওয়াটকিন্সের ডান পায়ের শট ফিরিয়ে চেলসিকে এগিয়ে রাখেন গোলরক্ষক এদুঁয়া মঁদি। এরপর দগলাস লুইস ও টাইরন মিঙ্গসের শট পারেনি অ্যাস্টন ভিলাকে সমতায় ফেরাতে।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে হাকিম জিয়াশের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া কোনাকুনি শট ফিরিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে দেননি অ্যাস্টন ভিলা গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অধিনায়ক মিঙ্গসের মহাভুলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় চেলসি। এই ডিফেন্ডারের ব্যাক পাসে ছিল না গতি। বল মাঝ পথে থাকতে এক ছুটে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলরক্ষককে অনায়াসে পরাস্ত করেন কোভাসিচ।
চার ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে চেলসি। সমান পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে শনিবার অন্য ম্যাচে নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে ৪-১ গোলে হারানো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
লেস্টার সিটিকে ১-০ গোলে হারিয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি।
নরিচ সিটির বিপক্ষে ১-০ গোলে জেতা আর্সেনাল তলানি থেকে ১৬ নম্বরে উঠে এসেছে।