কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় শনিবার বিকেলে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে পেপ গুয়ার্দিওলার দল।
হার দিয়ে লিগ শিরোপা ধরে রাখার অভিযান শুরুর পর ম্যানচেস্টার সিটির টানা তৃতীয় জয় এটি। টটেনহ্যাম হটস্পারের কাছে ১-০ গোলে হারের পর নরিচ সিটির বিপক্ষে ৫-০, এরপর আর্সেনালের বিপক্ষেও ৫-০ গোলে জিতেছিল তারা।
ম্যাচে গোলের জন্য ম্যানচেস্টার সিটির নেওয়া ২৫ শটের ৮টি ছিল লক্ষ্যে। লেস্টারের ৬ শটের একটি লক্ষ্যে।
আন্তর্জাতিক বিরতিতে প্রিমিয়ার লিগের অধিকাংশ দল লাতিন আমেরিকার খেলোয়াড়দের না ছাড়ায় ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে গোলরক্ষক এদেরসন ও ফরোয়ার্ড গাব্রিয়েল জেসুসের খেলা নিয়ে শঙ্কা জেগেছিল। তবে জাতীয় দলগুলো তাদের অবস্থান থেকে সরে আসায় মাঠে নামেন এই দুই ব্রাজিলিয়ান।
শুরু থেকে বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণে আধিপত্য করা ম্যানচেস্টার সিটি প্রথমার্ধে বেশ কিছু ভালো সুযোগ পেয়েছিল। এই সময়ে গোলের উদ্দেশে তাদের ১২ শটের ৫টি ছিল লক্ষ্যে, কিন্তু জালের দেখা মেলেনি।
জেসুস, জ্যাক গ্রিলিশ ও বের্নার্দো সিলভার প্রচেষ্টা রুখে দেন লেস্টার গোলরক্ষক কাসপের স্মাইকেল। এই মৌসুমে অ্যাস্টন ভিলা থেকে রেকর্ড ট্রান্সফার ফিতে ম্যানচেস্টার সিটিতে আসা গ্রিলিশ একবার মারেন উড়িয়ে।
প্রথমার্ধে মাত্র দুটি শট নেওয়া লেস্টার দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারত। কিন্তু জেমি ভার্ডির ডি-বক্সে নেওয়া ক্রসে হার্ভে বার্নসের হেড লাগে ক্রসবারে। একটু পর ভার্ডি জালে বল পাঠালেও অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান।
৬২তম মিনিটে এগিয়ে যায় ম্যানচেস্টার সিটি। গ্রিলিশের বাড়ানো বল ডি-বক্সের সামনে খুঁজে পায় রদ্রিকে। তার শট স্বাগতিক এক ডিফেন্ডার ঠেকানোর পর পেয়ে যান বের্নার্দো সিলভা। কাছ থেকে সহজেই বল জালে পাঠান তিনি।
বাকি সময়ে দুই দলই পেয়েছিল একাধিক সুযোগ। স্বাগতিকদের দুটি প্রচেষ্টা রুখে দেন এদেরসন। শেষ দিকে গ্রিলিশের শট ফিরিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি স্মাইকেল।
৪ ম্যাচে তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে ম্যানচেস্টার সিটি।
আরেক ম্যাচে নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে ৪-১ গোলে হারিয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। জোড়া গোল করে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ফেরা রাঙান ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।