গত বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থার সভাপতি আলেকসান্দের চেফেরিন সরাসরি হুমকির সুরে বলেন, ফিফা এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিলে বিশ্বকাপ বয়কট করবে ইউরোপের দলগুলো।
দক্ষিণ আমেরিকার দলগুলোও একই সিদ্ধান্ত নিতে পারে, এমন খবর তিনি পেয়েছেন বলে তখন দাবি করেন চেফেরিন। এর পরদিনই কনমেবল আনুষ্ঠানিকভাবে ফিফার প্রস্তাবের বিপক্ষে তাদের অবস্থান জানাল।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে দলগুলোর ম্যাচের সূচি নির্ধারণে এমনিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। সেখানে নতুন এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন আরও সমস্যা বাড়াবে।
“প্রস্তাবিত পরিবর্তনে পরিস্তিতি অনেক জটিল হয়ে যাবে। এটি এমনকি অন্যান্য টুর্নামেন্টগুলোর মান ঝুঁকিতে ফেলে দেবে, ক্লাব ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের।”
“দুই বিশ্বকাপের মাঝে সময়ের ব্যবধান কমানোর কোনো ক্রীড়াসূলভ যৌক্তিকতা নেই।”
আন্তর্জাতিক ম্যাচের বার্ষিক সূচি নতুন করে সাজানোর অংশ হিসেবে দুই বছর পরপর বিশ্বকাপ আয়োজনের ধারণা নিয়ে মাঝেমধ্যেই বলতে শোনা যাচ্ছে ফিফার বিশ্ব ফুটবল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান আর্সেন ভেঙ্গারকে। সম্প্রতি ফ্রান্সের ক্রীড়া প্রত্রিকা লেকিপেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও বিশ্বকাপের চার বছরের প্রথা পরিবর্তনের জন্য পুনরায় তার সমর্থন ব্যক্ত করেন আর্সেনালের সাবেক এই কোচ।
এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে সাবেক ও বর্তমান কোচ-খেলোয়াড়দের মাঝে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে।
সাবেক দুই ফুটবলার ব্রাজিলের ‘দা ফেনোমেনন’ রোনালদো ও ডেনমার্কের সাবেক তারকা গোলরক্ষক পিটার স্মাইকেলের দুই বছর পরপর বিশ্বকাপ ভাবনা ভালো লেগেছে। আর লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ ও ওয়েলসের রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড গ্যারেথ বেল বিপক্ষে মত দিয়েছেন।
ঘরোয়া ক্লাব প্রতিযোগিতাগুলোর প্রতিনিধিত্ব করা ওয়ার্ল্ড লিগ ফোরামও ফিফার প্রস্তাবের বিপক্ষে।