স্তাদিও মনুমেন্তালে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচটি ৩-০ গোলে জিতেছে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের শুরুতেই দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুটি গোল করেন মেসি।
দুর্দান্ত জয়ের ম্যাচে অসামান্য এক কীর্তি গড়েছেন রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার মেসি। কিংবদন্তি পেলেকে ছাড়িয়ে লাতিন আমেরিকার সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন তিনি।
২৮ বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর শিরোপা খরা কেটেছে, তাও আবার কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে তাদেরই মাঠে হারিয়ে। কিন্তু এমন আকাশছোঁয়া সাফল্যের উদযাপনটা সেদিন মনমতো হয়নি, ভক্ত-সমর্থকদের সঙ্গে জয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করতে না পারলে কী আর তা হয়!
উৎসবে নতুন রং ছড়াতে বেশি সময় নেননি মেসি। ম্যাচের চতুর্দশ মিনিটে দারুণ এক গোলে এগিয়ে নেন দলকে। লেয়ান্দ্রো পারেদেসের পাস ধরে ডিফেন্ডার লুইস হাকিনের বাধা এড়িয়ে প্রায় ২০ গজ দূর থেকে বাঁ পায়ের উঁচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন অধিনায়ক। একটু এগিয়ে থাকা গোলরক্ষক কোনো সুযোগই পাননি।
২৭তম মিনিটে কাছ থেকে জালে বল পাঠিয়েছিলেন লাউতারো মার্তিনেস। কিন্তু অফসাইডে ছিলেন তিনি। ৪০তম মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ নষ্ট করেন মার্তিনেস। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে মেসি বল বাড়ান তাকে; কিন্তু পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে পোস্টের বাইরে মেরে হতাশ করেন ইন্টার মিলানের এই স্ট্রাইকার।
দুই মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো। কিন্তু আনহেল দি মারিয়ার পাস ধরে ১৫ গজ দূর থেকে মেসির নেওয়া শট দূরের পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।
বিরতির ঠিক আগে রদ্রিগো দে পলের ভুলে বিপদে পড়তে পারতো আর্জেন্টিনা। নিজেদের ডি-বক্সের মুখে প্রতিপক্ষকে ব্যাকপাস দিয়ে বসেন এই মিডফিল্ডার। তবে উড়িয়ে মেরে সুবর্ণ সুযোগটি নষ্ট করেন বলিভিয়ার মিডফিল্ডার হেনরি ভাকা।
এই গোলেই মেসি ছাড়িয়ে যান লাতিন আমেরিকার আগের রেকর্ড গোলদাতা পেলেকে।
পরের ১০ মিনিটে আরও কয়েকটি সুযোগ আসে; কিন্তু ব্যবধান বাড়াতে পারেনি আর্জেন্টিনা। ৭৪তম মিনিটে কাছ থেকে আবারও জালে বল পাঠান মেসি, কিন্তু এ যাত্রায় গোল মেলেনি। অফসাইডে ছিলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে মেসির গোল হলো ৭৯টি। ৭৭ গোল নিয়ে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে এতদিন শীর্ষে ছিলেন পেলে।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আর্জেন্টিনার এটি পঞ্চম জয়। সঙ্গে তিন ড্রয়ে আট ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে তারা।