দক্ষিণ আমেরিকার দলগুলোও একই সিদ্ধান্ত নিতে পারে, এমন খবরও তিনি পেয়েছেন বলে দাবি করলেন চেফেরিন।
আন্তর্জাতিক ম্যাচের বার্ষিক সূচি নতুন করে সাজানোর অংশ হিসেবে দুই বছর পরপর বিশ্বকাপ আয়োজনের ধারণা নিয়ে মাঝেমধ্যেই বলতে শোনা যাচ্ছে ফিফার বিশ্ব ফুটবল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান আর্সেন ভেঙ্গারকে। সম্প্রতি ফ্রান্সের ক্রীড়া প্রত্রিকা লেকিপেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও বিশ্বকাপের চার বছরের প্রথা পরিবর্তনের জন্য পুনরায় তার সমর্থন ব্যক্ত করেন আর্সেনালের সাবেক এই কোচ।
তবে, তেমন কিছু বাস্তবায়ন হলে তা মেনে নেওয়া হবে না বলে বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ পত্রিকা দা টাইমসকে বলেন চেফেরিন।
“এমন কিছু হলে আমরা বিশ্বকাপে না খেলার সিদ্ধান্ত নিতে পারি…যদ্দুর জানি, দক্ষিণ আমেরিকার দলগুলোও একইরকম ভাবছে।”
“আমার মনে হয় এটা কখনোই হবে না, কারণ এটি ফুটবলের মৌলিক নীতির পরিপন্থী। প্রতি গ্রীষ্মে একটি করে মাস ব্যাপী টুর্নামেন্ট খেলাটা খেলোয়াড়দের হত্যার শামিল। এটা যদি প্রতি দুই বছরে হয়, তাহলে তা নারী বিশ্বকাপ, অলিম্পিক ফুটবল টুর্নামেন্টের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে।”
দুই বছর পরপর হলে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতাটি তার গুরুত্ব হারাবে বলেও মনে করেন উয়েফা সভাপতি।
“বর্তমানে এটার (বিশ্বকাপ) মান ঠিকঠাক আছে, কারণ প্রতিযোগিতাটি হয় চার বছর পরপর, সবাই এর অপেক্ষায় থাকে। এটা অলিম্পিকের মতো, বিশাল এক ইভেন্ট। আমার মনে হয় না আমাদের ফেডারেশনগুলো এটাকে সমর্থন দেবে।”
ফিফা জানিয়েছে, এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে এবং কনফেডারেশন ও সদস্য সংস্থাগুলোসহ সব অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা সামনের দিনগুলিতেও চলবে। তবে এ বিষয়ে কারও কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রস্তাব পাননি বলে জানালেন চেফেরিন।
“তারা আসেনি, ফোন করেনি, আমি চিঠি বা কোনো কিছুই পায়নি। আমি কেবল এটা পড়েছি গণমাধ্যমে।”
চেফেরিন মতে, দুই বছর পরপর বিশ্বকাপের পরিকল্পনা এখনই বাদ দেওয়া উচিত। আর একটা সময়ে ফিফা নিজেদের ভুল বুঝতে পারবে বলেও মনে করেন তিনি।
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ (ইউরো) চার বছরের পরিবর্তে দুই বছর পরপর করার কোনো ইচ্ছা নেই বলেও জানান চেফেরিন।
“আর্থিক দিক দিয়ে হয়ত এটা (দুই বছর পরপর ইউরো) উয়েফার জন্য ভালো হবে, কিন্তু সমস্যাটা হলো সেক্ষেত্রে আমরা ফুটবলকে শেষ করে ফেলব। আমরা খেলোয়াড়দের মেরে ফেলছি। আমার মনে হয় না ক্লাবগুলো খেলোয়াড়দের যেতে দিবে, যা আমাদের পুরোপুরি বিভক্ত করে ফেলবে।”