করোনাভাইরাসের কারণে যুক্তরাজ্য সরকারের ‘লাল তালিকায়’ থাকা দেশগুলোর খেলোয়াড়দের চলমান আন্তর্জাতিক সূচিতে ছাড়তে অস্বীকৃতি জানায় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলগুলো। লাতিন আমেরিকার দেশগুলো পড়েছে এই তালিকায়। আর এই দেশগুলো থেকে যুক্তরাজ্যে ফেরার পর ১০ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক।
প্রিমিয়ার লিগের সঙ্গে সুর মেলায় লা লিগাও। তারা জানায়, করোনাভাইরাস ইস্যুতে খেলোয়াড় না ছাড়লে ক্লাবগুলোকে সাপোর্ট দেবে তারা।
তাদের এমন সিদ্ধান্তের ফলে জাতীয় দলে যোগ দিতে পারেননি অনেক ফুটবলার। অনেকে যোগ দিলেও দায়িত্ব পুরোপুরি শেষ না করেই ফিরেছেন ক্লাবে।
এমন নিষেধাজ্ঞার বেড়াজালে আটকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বলিভিয়ার বিপক্ষে বেশ কয়েকজনকে দলে পাবে না আর্জেন্টিনা। ম্যাচের আগে বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্কালোনি।
“এমনটা আবার হতে পারে না। মনে হচ্ছে, অনেক কিছুই আমাদের পুনর্বিবেচনা করতে হবে। কারণ, ক্লাবগুলোর খেলোয়াড় ছাড়া নিয়ে যা ঘটেছে তা আমরা মেনে নিতে পারি না। এমন অনেক জাতীয় দল আছে যারা কিছু খেলোয়াড় পায়নি, আবার অনেকে দলে পেলেও তাদের আগেই ফেরত পাঠাতে হয়েছে।”
“আগামী আন্তর্জাতিক বিরতি পর্যন্ত আমাদের সময় আছে। (জাতীয় দলের) কোচ এবং ফেডারেশন আলোচনায় বসবে এবং একটা সমাধান বের করবে। পরের আন্তর্জাতিক বিরতিতে এটা চলতে পারে না।”
প্রিমিয়ার লিগ খেলোয়াড়দের না ছাড়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্রাজিল দল। প্রথম পছন্দের চার খেলোয়াড়সহ মোট ৯ জনকে পায়নি তারা। প্রিমিয়ার লিগে খেলা চার ফুটবলার-এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া, এমিলিয়ানো মার্তিনেস, জিওভানি লো সেলসো ও ক্রিস্তিয়ান রোমেরোকে পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। এই চারজনকে দলে নিয়েই গত শুক্রবার ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ৩-১ গোলে জেতে স্কালোনির দল।
পরের ম্যাচে ব্রাজিলের বিপক্ষে তাদের নিয়েই বাঁধে বিপত্তি। ম্যাচ শুরুর পাঁচ মিনিটের মাথায় কোয়ারেন্টিন ইস্যুকে সামনে এনে ম্যাচ থামিয়ে দেয় ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। ম্যাচটি এরপর আর মাঠে গড়ায়নি।
বলিভিয়ার বিপক্ষে সেই চার ফুটবলারকে দলে পাচ্ছে না আর্জেন্টিনা। ক্লাবে ফেরা নিয়ে খেলোয়াড়দের মনোভাবও ব্যাখ্যা করেন আর্জেন্টিনা কোচ।
“আমরা খেলোয়াড়দের অবস্থা বুঝতে পেরেছি, তারা জাতীয় দলে যোগ দিতে অসম্ভব কাজটা করেছিল।”
“তবে একটা সিদ্ধান্ত নিতেই হতো। আমি তাদের চিন্তিত এবং উদ্বিগ্ন দেখেছি কারণ যত দ্রুত সম্ভব ক্লাব তাদের ফিরতে বলেছিল।”