বিশ্বকাপ বাছাইয়ে মঙ্গলবার ইয়োহান ক্রুইফ অ্যারেনায় ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে তুরস্ককে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দেয় লুই ফন খালের দল। এই জয়ে ৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে নেদারল্যান্ডস।
প্রথমার্ধে নেদারল্যান্ডসের করা তিন গোলের দুটি করেন ডিপাই; এর মধ্যে একটি পেনাল্টি থেকে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরেক গোলে হ্যাটট্রিকের বৃত্ত পূরণ করে দলের বড় জয়ে অবদান রাখেন তিনি।
এমন ঝলমলে পারফরম্যান্সের পরও আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ দেখছেন না ২৭ বছর বয়সী এই ফুটবলার। নজর দিচ্ছেন ম্যাচের বেশ কিছু মুহূর্তে, যেখানে নিজেদের ঢিলেমির কারণে বেশ কয়েকবার বলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন প্রতিপক্ষের কাছে।
“আমরা বেশ কিছু সময় ধীর গতির ছিলাম, বিশেষ করে আমি।…দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর আমরা আমাদের খেলা কিছুটা ছড়িয়ে দিয়েছিলাম আর সেক্ষেত্রে অমন কিছু ঢিলেমির মুহূর্ত এসে যায়। কিন্তু আমাদের আসলে উচিত ছিল চেষ্টা করা এবং খেলার উঁচু মান ধরে রাখা। এখানে আবারও আমি নিজের সম্পর্কে বলছি।”
“সবাই হয়তো ভাবতে পারে এখন হ্যাটট্রিকের পর আমি খুব আনন্দিত। হ্যাঁ, আমি খুশি, কিন্তু নিজের কাছে আমার প্রত্যাশা আরও বেশি।”
নেদারল্যান্ডসের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় ৩৩ গোল নিয়ে ডিপাই যৌথভাবে ক্রুইফ ও আবে লেনস্ত্রার সঙ্গে উঠে এসেছেন সাতে। কিংবদন্তিদের সঙ্গে নিজেকে দেখে উচ্ছ্বসিত এই বার্সেলোনা তারকার চোখ এখন শীর্ষ তিনে। ৫০ গোল করে ডাচদের সর্বকালের সেরা গোলদাতা সাবেক ফরোয়ার্ড রবিন ফন পার্সি।
"তারা দুজন কিংবদন্তি খেলোয়াড়, আপনি তাদের সঙ্গে অন্য কারও তুলনা করতে পারেন না।"
"কিন্তু আমার জন্য এটা দারুণ যে, আমি শীর্ষ দশে আছি। এখন সেরা তিনের দিকেই এগিয়ে যাব।”