১০ দল নিয়ে আগামী বুধবার থেকে দাবা ফেডারেশনেই শুরু হবে এই প্রতিযোগিতা। দলগুলো হচ্ছে-বাংলাদেশ পুলিশ, শাহিন চেস ক্লাব, উত্তরা সেন্ট্রাল চেস ক্লাব, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, তিতাস ক্লাব, শেখ রাসেল চেস ক্লাব, সোনালী ব্যাংক ক্রীড়া ও বিনোদন ক্লাব, রূপালী ব্যাংক ক্রীড়া পরিষদ, সুলতানা কামাল স্মৃতি পাঠাগার এবং বসির মেমোরিয়াল চেস ক্লাব।
প্রতিটি দলে সর্বোচ্চ ৬ জন এবং সর্বনিম্ন ৪ জন করে দাবাড়ু থাকবেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে এই প্রতিযোগিতার নাম দেওয়া হয়েছে মুজিব বর্ষ ১ম মহিলা দাবা লিগ। আসরের পৃষ্ঠপোষকতা করছে আকিজ সিরামিকস।
চ্যাম্পিয়ন দল ৫০ হাজার, রানার্সআপ দল ৩০ হাজার এবং তৃতীয় স্থান পাওয়া দলকে ২০ হাজার টাকা করে অর্থ পুরস্কার দেওয়া হবে। এছাড়াও প্রত্যেক বোর্ডের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে খেলোয়াড়দের বোর্ড পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ফেডারেশন।
মেয়েদের দাবা লিগ শুরু হওয়াটা তাদের দাবার ক্লাব পর্যায়ের পেশাদার পর্বে যাত্রা শুরু বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন দাবার বিচারক হারুন অর রশিদ। দেশি-বিদেশি টুর্নামেন্টে দায়িত্ব পালন করা রশিদ রোমন্থন করলেন পুরানো স্মৃতিও।
“১৯৭৭ সালে প্রথম লিগ শুরু হয়েছিল। সেবার মোহামেডান চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তখন এসব অবকাঠামো ছিল না। ধরুন, মোহামেডান-ব্রাদার্সের ম্যাচ এবং সেটি হচ্ছে মোহামেডান বা ব্রাদার্স ক্লাবে। ১৯৮০ সালের লিগ হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।”
“দেরিতে হলেও এতদিন পর শুধু মেয়েদের জন্য দাবা লিগ হওয়াটা খুবই ইতিবাচক দিক। প্রতিটি দলে কমপক্ষে চার জন করে খেলোয়াড় থাকবে, ফলে অনেকের আগ্রহ বাড়বে, দাবাড়ুরা পারিশ্রমিক পাবে। ক্লাব পর্যায়েও একটা পেশাদার কাঠামো দাঁড়িয়ে যাবে; সব মিলিয়ে এটা খুবই ইতিবাচক দিক।”