এবার ইউক্রেনের মাঠে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হোঁচট

ফেভারিটের তকমা নিয়েও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে আগেভাগে বিদায়। হতাশার সেই অধ্যায় শেষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ফিরে হোঁচট। খারাপ সময়কে এবারও পেছনে ফেলতে পারল না ফ্রান্স। দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের রুখে দিল ইউক্রেন।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Sept 2021, 08:41 PM
Updated : 6 Sept 2021, 05:08 PM

ইউরোপ অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে শনিবার রাতে ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। মাইকোলা শাপারেঙ্কোর গোলে ইউক্রেন এগিয়ে যাওয়ার পর সমতা টানেন অঁতনি মার্সিয়াল।

চোটের কারণে বাইরে কিলিয়ান এমবাপে। বিশ্রাম দিতে করিম বেনজেমাকে বেঞ্চে রাখেন কোচ। তাতে প্রথমার্ধে আক্রমণে ভুগতে দেখা যায় ফ্রান্সকে। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামলেও দলকে জয়ের পথে ফেরাতে পারেননি রিয়াল মাদ্রিদ তারকা বেনজেমা।

ম্যাচে ৬০ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ১৬টি শট নেয় ফ্রান্স, যার পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে। আর ইউরোর কোয়ার্টার-ফাইনালিস্ট ইউক্রেনের আট শটের তিনটি লক্ষ্যে ছিল।

ইউরোর শেষ ষোলোয় সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে টাইব্রেকারে হারের পর গত বুধবার প্রথম খেলতে নেমে বসনিয়া-হার্জেগোভিনার বিপক্ষে পিছিয়ে পড়ে ১-১ ড্র করে দিদিয়ে দেশমের দল। এবারও ঠিক একইভাবে ম্যাচ শেষ করল তারা।

বাছাইয়ের প্রথম রাউন্ডে ফ্রান্সকে তাদের মাঠেও একই স্কোরলাইনে আটকে দিয়েছিল ইউক্রেন।

কিয়েভে ম্যাচের শুরু থেকে বল দখলে ফ্রান্স এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে দুই দলই ছিল সমানে-সমান। জমজমাট লড়াইয়ে ৩৫তম মিনিটে সহজ দুটি সুযোগ হারায় ইউক্রেন। ইয়ারমোলেঙ্কোর ভলি গোলরক্ষক উগো লরিস ফেরানোর পর আলগা বল পেয়ে ছয় গজ দূর থেকে উড়িয়ে মারেন ইলিয়া জাবারনি।

৪৪তম মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন মার্সিয়াল। প্রতিপক্ষের পায়ের ফাঁক গলে চেয়েছিলেন বল জালে পাঠাতে, কিন্তু নিচু হয়ে ঠেকিয়ে দেন আন্দ্রি পিয়াতভ।

ওখান থেকেই প্রতি-আক্রমণে ওঠে ইউক্রেন। ডান দিক দিয়ে বল নিয়ে দারুণ ক্ষিপ্রতায় ছুটে ডিফেন্ডার প্রেসনেল কিম্পেম্বেকে গতিতে হারিয়ে বাইলাইন থেকে কাটব্যাক করেন ইয়ারেমচুক। কুর্ত জুমা ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি, ডি-বক্সের বাইরে বল পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় বুলেট গতির শটে ঠিকানা খুঁজে নেন শাপারেঙ্কো।

দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে কিছুটা সৌভাগ্যের ছোঁয়ায় সমতায় ফেরে ফরাসিরা। সতীর্থের হেডে বল একজনের গায়ে লেগে গোলমুখে মার্সিয়ালের পায়ে পড়ে। তার শট গোলরক্ষক বরাবরই ছিল, কিন্তু পিয়াতভ তালগোল পাকানোয় বল চলে যায় গোললাইন পেরিয়ে।

৬৭তম মিনিটে মার্সিয়ালের বদলি নামা বেনজেমা ১০ মিনিট পর একটি সুযোগ তৈরি করেছিলেন। সতীর্থের পাস ডি-বক্সে পেয়ে কাটব্যাক করেছিলেন মুসা দিয়াবিকে। কিন্তু ফাঁকায় থেকে পোস্টে মেরে হতাশ করেন বায়ার লেভারকুজেনের এই ফরোয়ার্ড।

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পাঁচ ম্যাচে এই নিয়ে তিনবার পয়েন্ট হারাল ফ্রান্স। দুই জয় ও তিন ড্রয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে অবশ্য গ্রুপের শীর্ষেই আছে তারা।

তিন ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ফিনল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচের সবকটি ড্র করা ইউক্রেনের পয়েন্টও তাই, তিনে আছে তারা।

বসনিয়া ও কাজাখস্তানের পয়েন্ট সমান ২ করে।

‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে মেমফিস ডিপাইয়ের জোড়া গোলে মন্টেনেগ্রোকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়েছে নেদারল্যান্ডস। আর জিব্রাল্টারের মাঠে ৩-০ গোলে জিতেছে তুরস্ক।

পাঁচ রাউন্ড শেষে ১১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে তুর্কিরা। ১ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে নেদারল্যান্ডস।