নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আরামবাগের খেলোয়াড়দের আপিল

ম্যাচ পাতানো ও ম্যাচ ঘিরে বেটিংয়ের দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের খেলোয়াড়রা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আপিল করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কাছে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Sept 2021, 02:25 PM
Updated : 2 Sept 2021, 02:25 PM

চলতি প্রিমিয়ার লিগে লাইভ বেটিং, ম্যাচ ফিক্সিং, ম্যাচ ম্যানিপুলেশন ও অলনাইন বেটিংয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে ‘সুস্পষ্ট প্রমাণ’ পাওয়ায় গত ২৯ অগাস্ট আরামবাগ ও দলটির খেলোয়াড়দের শাস্তি দেয় বাফুফে।

আরামবাগকে দুই বছরের জন্য প্রথম বিভাগে নামিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি। এছাড়া দলটির গোলরক্ষক আপেল মাহমুদকে ৫ বছর এবং আবুল কাশেম, আল আমিন, মোহাম্মদ রকি, জাহিদ হোসেন, রাহাদ মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান সৈকত, শামীম রেজাকে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয় ডিসিপ্লিনারি কমিটি।

এছাড়া ওমর ফারুক, রাকিবুল ইসলাম, মেহেদী হাসান ফাহাদ ও মিরাজ মোল্লাকে ২ বছরের জন্য ফুটবল সংশ্লিষ্ট সকল কার্যকলাপ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। শাস্তির বিপক্ষে আপিলের সুযোগ থাকায় নিজেদের নির্দোষ দাবি করে বৃহস্পতিবার আবেদন করেছেন খেলোয়াড়রা।

গত ১৭ জানুয়ারি মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, ৯ ফেব্রুয়ারি শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি আবাহনী লিমিটেড-আরামবাগের এই তিনটি ম্যাচ নিয়ে এএফসি সন্দেহ প্রকাশ করেছিল এবং ‘অধিকতর’ তদন্তের নির্দেশনা দিয়েছিল বাফুফেকে।

এই তিন ম্যাচের মধ্যে কেবল মোহামেডানের বিপক্ষে শেষ ৩০ মিনিট খেলেছিলেন মিরাজ। ২০১৭ সালের এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলা এই তরুণ ফরোয়ার্ড বিডিনিউজকে জানালেন ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কার কথা।

“যে ম্যাচগুলো নিয়ে অভিযোগ, এর মধ্যে আমি কেবল মোহামেডানের বিপক্ষে খেলেছিলাম। তাও বেশি সময় নয়। কিন্তু তারপরও শাস্তি পেতে হচ্ছে। ফুটবলই আমাদের সবকিছু; এত কষ্ট করে এতদূর এসেছি, এখন যদি কোনো অপরাধ না করে শাস্তি পেতে হয়, তাহলে আমাদের কী হবে?”

“আমি কোনোভাবেই এসবের সঙ্গে জড়িত না। এখন আরও বড় দলে খেলার সুযোগ আমার, সেখানে আমি কিভাবে এসব করব? আশা করি, বাফুফে আমাদের আবেদন বিবেচনা করে মুক্তি দিবে। আমি কোনো অন্যায় করিনি।”

বয়সভিত্তিক পর্যায়ে খেলে আসা কাজী রাহাদও জানালেন হতাশার কথা। ১৮ বছর বয়সী এই সেন্টার ব্যাকের সঙ্গে আবাহনীর কথা পাকা হয়ে ছিল। এখন তাকে ঘিরে ধরেছে নানা অনিশ্চয়তা।

“এই প্রথম লিগে খেললাম। যদি ওসব করে বেড়াতাম, ভালো না খেলতাম, তাহলে তো প্রিমিয়ার লিগে আট-নয়টা দল থেকে আমার ডাক আসত না। আবাহনীর সঙ্গে পাকা কথা হয়ে গিয়েছিল। এখন জানি না কি হবে?”

“ফুটবলই আমার সব। বাবা-মা, পরিবারকে কি বলব? আমি ওসবের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত না। যতগুলো ম্যাচে সুযোগ পেয়েছি, নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি, যাতে আরও বড় দলে সুযোগ পেতে পারি। জানি না কি কারণে শাস্তি পেতে হচ্ছে। আশা করি, এ থেকে মুক্তি পাব। আবারও খেলতে পারব।”