কাম্প নউয়ে রোববার স্থানীয় সময় বিকেলে লা লিগার ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা।
রিয়াল সোসিয়েদাদকে ৪-২ গোলে হারিয়ে আসর শুরুর পর গত সপ্তাহে আথলেতিক বিলবাওয়ের মাঠে ১-১ ড্র করে বার্সেলোনা। ঘরের মাঠে ফিরে আবারও জয়ের দেখা পেল তারা।
পুরো ম্যাচে বল দখলে এগিয়ে থাকলেও আক্রমণভাগে ভুগতে দেখা গেছে বার্সেলোনাকে। গোলের উদ্দেশে তারা মাত্র সাতটি শট নিতে পারে (তিনটি লক্ষ্যে), ২০০৩-০৪ মৌসুমের পর থেকে লা লিগায় ঘরের মাঠে যা তাদের যৌথভাবে সর্বনিম্ন। সাবেক কোচ এরনেস্তো ভালভেরদের সময়ে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে এইবারের বিপক্ষেও সমান সাতটি শট নিয়েছিল কাতালান ক্লাবটি।
ম্যাচ শুরু হতে না হতেই গোল উদযাপনে মেতে ওঠে বার্সেলোনা। বাঁ দিক থেকে ডি-বক্সে নিচু বল বাড়ান জর্দি আলবা। চেষ্টা করেও পা লাগাতে পারেননি মার্টিন ব্রাথওয়েট। তার পেছনে গোলমুখে ছুটে যাওয়া রবের্তো সঙ্গে লেগে থাকা একজনকে ফাঁকি দিয়ে টোকায় বল পাঠান জালে।
৯৬ সেকেন্ডের গোলটি লা লিগায় গত ছয় বছরে বার্সেলোনার হোম ম্যাচে দ্রুততম। ২০১৫ সালের ১৮ এপ্রিল ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে ৫৪ সেকেন্ডে গোল করেছিলেন লুইস সুয়ারেস।
এগিয়ে থাকার আনন্দ অবশ্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি বার্সেলোনার। ১৯তম মিনিটে দারুণ এক গোলে সমতা টানে গেতাফে। কার্লোস আলেনার সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়ার ফাঁকে ডি-বক্সে ঢুকেই নিচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন সান্দ্রো রামিরেস। প্রথম দুই ম্যাচে হারা দলটির আসরে এটাই প্রথম গোল।
৩০তম মিনিটে মেমফিসের নৈপুণ্যে আবারও এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের পাস পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পায়ের কারিকুরিতে প্রতিপক্ষকে ফাঁকি দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ডাচ ফরোয়ার্ড। গত সপ্তাহে আথলেতিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে তার শেষ দিকের গোলেই ১-১ ড্র করেছিল বার্সেলোনা।
৬০তম মিনিটে আবারও সমতায় ফিরতে পারতো গেতাফে; তবে নিকোলো মাকসিমোভিসের জোরালো শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান টের স্টেগেন।
শেষ পাঁচ মিনিটে একচেটিয়া বল দখলে রেখে গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে গেতাফে, যদিও আর কোনো উল্লেখযোগ্য সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। টানা তৃতীয় হারের তেতো স্বাদ নিয়ে ফিরল দলটি।
তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠল বার্সেলোনা। যথাক্রমে প্রথম তিনটি স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ, সেভিয়া ও ভালেন্সিয়ার পয়েন্টও সমান ৭।