চলতি প্রিমিয়ার লিগে লাইভ বেটিং, ম্যাচ ফিক্সিং, ম্যাচ ম্যানিপুলেশন ও অলনাইন বেটিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল আরামবাগের বিপক্ষে। তার প্রেক্ষিতে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) ‘অধিকতর তদন্তের’ নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে)।
রোববার এক বিবৃতিতে আরামবাগের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে ‘সুস্পষ্ট প্রমাণ’ পাওয়ার কথা জানায় ডিসিপ্লিনারি কমিটি। দলটিকে ৫ লাখ টাকা আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে।
চলতি লিগের টেবিলের তলানিতে থেকে আগেই অবনমিত হয়ে গেছে আরামবাগ। বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের পরের আসরে খেলে শীর্ষ লিগে ফেরার সুযোগ ছিল তাদের। কিন্তু ২০১৯ সালের আলোচিত সেই ‘ক্যাসিনো কাণ্ডে’ জেরবার আরামবাগ আরও বিপদে পড়ল এবার।
চ্যাম্পিয়নশিপ লিগেও খেলার সুযোগ পাবে না আরামবাগ। সরাসরি তাদেরকে প্রথম বিভাগ ফুটবলে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রথম বিভাগ থেকে প্রমোশন পেলেও তা আগামী দুই মৌসুম কার্যকর হবে না বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিটি।
দলটির গোলরক্ষক আপেল মাহমুদ ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন। খেলোয়াড় আবুল কাশেম, আল আমিন, মোহাম্মদ রকি, জাহিদ হোসেন, রাহাদ মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান সৈকত, শামীম রেজাকে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ডিসিপ্লিনারি কমিটি।
এছাড়াও দলটির খেলোয়াড় ওমর ফারুক, রাকিবুল ইসলাম, মেহেদী হাসান ফাহাদ ও মিরাজ মোল্লাকে ২ বছরের জন্য ফুটবল সংশ্লিষ্ট সকল কার্যকলাপ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।