ফার্গুসনের ফোন আর ফের্নান্দেসের বার্তায় রোনালদোর ফেরা

একটা সময় পর্যন্ত শোনা যাচ্ছিল, সম্ভাবনায় সবচেয়ে এগিয়ে ম্যানচেস্টার সিটি। ঘরের ছেলে কি না যাবে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী শিবিরে! ফোন করলেন কিংবদন্তি কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। বার্তা দিলেন জাতীয় দলের সতীর্থ ব্রুনো ফের্নান্দেস। তৎপর হয়ে উঠলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এক সময়ের সতীর্থরা। ব্যস বদলে গেল গতিপথ, ইউভেন্তুস থেকে প্রিয় ওল্ড ট্র্যাফোর্ডেই ফিরলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। 

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 August 2021, 08:07 PM
Updated : 27 August 2021, 08:07 PM

ইউভেন্তুস কোচ মাস্সিমিলিয়ানো আল্লেগ্রি শুক্রবার জানান, ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রোনালদো। ৩৬ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের দলবদলে সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছিল সিটির নাম। রিয়াল মাদ্রিদ ও পিএসজির কথাও এসেছিল। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে খবর আসে, মৌখিকভাবে সিটির সঙ্গে সমঝোতায়ও পৌঁছে গেছেন পর্তুগাল অধিনায়ক।

এরপর শুক্রবার সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত বদলে যেতে থাকে চিত্র। ক্লাবের ইতিহাসের সেরাদের একজন যোগ দিবেন নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবে-এটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না ইউনাইটেডের সাবেক খেলোয়াড় ও সমর্থকরা। শুরু হয় ঘরের ছেলেকে ফেরানোর অভিযান। তাতে প্রত্যক্ষ অবদান রাখেন রোনালদোর কাছে পিতৃতূল্য ফার্গুসন।

যার হাত ধরে তরুণ রোনালদো ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে এসেছিলেন, শুরু করেছিলেন বিশ্ব জয়ের যাত্রা, ইউনাইটেডের সেই সাবেক কোচ ফার্গুসন শুক্রবার সকালে সরাসরি রোনালদোর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ছয়টি মৌসুম যার কোচিংয়ে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন, সেই গুরুর এক কথাতেই মত পাল্টে ফেলেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার।

ম্যানচেস্টার ইভনিং নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার রোনালদোকে করা ফার্গুসনের একটি ফোন কল থেকেই সূত্রপাত হয় নাটকীয় দিনের।

সংবাদমাধ্যম মেন এর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গ্লেজার পরিবার (ইউনাইটেডের মালিক) ক্লাব গ্রেটকে তাদের নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের শিবিরে যোগ দেওয়া থেকে বিরত রাখতে প্রস্তুত করে ক্লাবে ফেরানোর চুক্তির প্রস্তাব।

ফার্গুসন ছাড়াও রোনালদোর মত বদলে প্রভাব রেখেছে তার সাবেক সতীর্থরাও।

ইএসপিএন এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, রোনালদোর সাবেক ওল্ড ট্র্যাফোর্ড সতীর্থদের মধ্যে অনেকেই হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাঠিয়েছিলেন সিটির সঙ্গে তার আলোচনার ব্যাপারে জানার পর। তারা নাকি রোনালদোকে বলেন, এমন পদক্ষেপ ভুল হবে, বরং এর পরিবর্তে তাকে ইউনাইটেডে ফেরার কথা বিবেচনা করার জন্য বলেন।

এরপর সাবেক ইংল্যান্ড ও ইউনাইটেডের খেলোয়াড় রিও ফার্ডিনান্ড জানান, তিনি রোনালদোকে ফোন করে জানতে চেয়েছিলেন দলবদলের ব্যাপারে।

“আমি তাকে সরাসরি ফোন করে বললাম, কি হচ্ছে? বলো তুমি মিথ্যা বলছ? দয়া করে আমাকে বলো তুমি (সিটিতে) যাচ্ছো না।

“আশা করি, যে কোনো সময়ে একটি ঘোষণা আসছে এবং সেটা হলে আমি খুশিই হব।”

সাবেক সতীর্থদের পাশাপাশি রোনালদোকে ঘরে ফেরাতে অবদান রাখেন তার জাতীয় দলের সতীর্থ ফের্নান্দেসও। বৃহস্পতিবার রোনালদোর সঙ্গে এই মিডফিল্ডার যোগাযোগ করেছিল বলে জানান দলটির কোচ উলে গুনার সুলশার।