প্রিমিয়ার লিগ ও লা লিগাকে খেলোয়াড় ছাড়ার আহবান ফিফার

আগামী মাসের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে খেলোয়াড়দের ছাড়ার ব্যাপারে ইংল্যান্ড ও স্পেনের দুই শীর্ষ লিগকে নিজেদের অবস্থান বিবেচনা করতে বলেছেন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 August 2021, 05:06 PM
Updated : 25 August 2021, 05:19 PM

যুক্তরাজ্য সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের জন্য লাল তালিকায় থাকা দেশগুলো থেকে যুক্তরাজ্যে ফেরা ফুটবলারদের বাধ্যতামূলকভাবে ১০ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। ফলে ক্লাবের হয়ে একাধিক ম্যাচ খেলতে পারবেন না তারা।

বিবিসি জানায়, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ যুক্তরাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে ‘দৃঢ়ভাবে সমর্থন’ দেওয়ার কথা জানিয়েছে। ১৯টি ক্লাব প্রায় ৬০ জন খেলোয়াড়কে করোনাভাইরাসের লাল তালিকায় থাকা ২৬টি দেশে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অন্যদিকে স্পেনের লা লিগা জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১৩টি ক্লাবের ২৫ জন খেলোয়াড় আন্তর্জাতিক বিরতিতে দেশের হয়ে খেলার ডাক পেয়েছেন। একুয়েডর ও ভেনেজুয়েলা তাদের স্কোয়াড দিলে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। লা লিগার আপত্তি মূলত লাতিন আমেরিকায় খেলোয়াড়দের যাওয়া নিয়ে। 

প্রিমিয়ার লিগের মতো লা লিগাও খেলোয়াড়দের না ছাড়ার ব্যাপারে ক্লাবের সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়েছে। তবে দুই শীর্ষ লিগের এই শক্ত অবস্থানকে বিশ্বজুড়ে ফুটবলের ‘অখণ্ডতা সংরক্ষণ এবং সুরক্ষা’ বিরোধী বলেই মনে হচ্ছে ইনফান্তিনোর কাছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, খেলাটির বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনা করে নমনীয় হবে লিগগুলো।

‘আমি প্রতিটি সদস্য জোট, প্রতিটি লিগ এবং প্রতিটি ক্লাবকে সংহতি দেখানোর আহ্বান জানাচ্ছি, যা বৈশ্বিক খেলার জন্য সঠিক এবং ন্যায্য হবে।"

সেপ্টেম্বরের বিরতিতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা অনেক খেলোয়াড়ের ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, মিশরসহ আরও অনেক দেশের হয়ে খেলার কথা রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে ইনফান্তিনো সাহায্য চেয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কাছে। তার চাওয়া, সদ্য সমাপ্ত ইউরো ২০২০ এর শেষ সপ্তাহের (সেমিফাইনাল ও ফাইনাল) মত একইভাবে আয়োজন করা হোক সেপ্টেম্বরের আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলো।

“আমি পরামর্শ দিয়েছি যে, ইউরো ২০২০ এর শেষের দিকে যুক্তরাজ্য সরকার যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছিল, অনুরূপ একটি পদ্ধতি যেন আসন্ন আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্যও প্রয়োগ করা হয়।”

লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম গত মাসে ইউরো ২০২০ এর সেমিফাইনাল এবং ফাইনালের আয়োজন করেছিল। গত সপ্তাহে প্রকাশিত সরকারি তথ্যে জানানো হয়েছে, ফাইনালের দিন স্টেডিয়াম বা তার আশেপাশে পাওয়া কোভিড-১৯ সংক্রমণের মাত্রার কারণে ফাইনাল একটি ‘সুপারস্প্রেডার’ ইভেন্ট ছিল।