লুকাকুর নৈপুণ্যে আর্সেনালকে হারাল চেলসি

চেলসির হয়ে দ্বিতীয় দফার অভিষেকে আলো ছড়ালেন রোমেলু লুকাকু। সুযোগ কাজে লাগালেন রিস জেমসও। চেনা আঙিনায় ম্যাচজুড়ে নিজেদের খুঁজে ফিরল আর্সেনাল। দাপুটে ফুটবলের পসরা মেলে রেখে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আরেকটি দারুণ জয় তুলে নিল চেলসি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 August 2021, 05:30 PM
Updated : 22 August 2021, 05:31 PM

এমিরেটস স্টেডিয়ামে রোববার ২-০ গোলে জিতেছে চেলসি। ক্রিস্টাল প্যালেসকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে চলতি মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগে যাত্রা শুরু করেছিল ‘ব্লুজ’ নামে পরিচিত দলটি।

দুঃস্বপ্নময় শুরুর ঘোরপাক থেকে বেরিয়ে আসতে পারল না আর্সেনাল। ৭৪ বছর পর লিগে ফেরা ব্রেন্টফোর্ডের কাছে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ২-০ গোলে হেরেছিল মিকেল আর্তেতার দল।

নিজেদের আঙিনায় সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে একটু একটু করে ছন্দ হারাতে থাকে আর্সেনাল। আর্তেতার দলকে চেপে ধরে চেলসি। পঞ্চদশ মিনিটে প্রথম ভালো আক্রমণ থেকে এগিয়েও যায় দলটি। সতীর্থের পাস ধরে ডান দিক থেকে গোলমুখে আড়াআড়ি ক্রস বাড়ান জেমস। নিখুঁত টোকায় জাল খুঁজে নেন লুকাকু।

ইন্টার মিলান থেকে চেলসিতে ফেরার পর প্রথম ম্যাচেই জালের দেখা পেলেন এই বেলজিয়ান স্ট্রাইকার।

২২তম মিনিটে নিকোলাস পেপের পাস ধরে বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে উঠেছিলেন বুকায়ো সাকা। কিন্তু চেলসি ডিফেন্ডার সেসার আসপিলিকুয়েতার বাঁধা পেরুতে পারেননি আর্সেনালের এই উইঙ্গার। প্রথমার্ধের বাকিটা সময়েও নিজেদের খুঁজে পায়নি ‘গানার’ খ্যাত দলটি।

পরের মিনিটে জেমসের হাত ধরে আবারও আক্রমণে ওঠে চেলসি। কিন্তু বক্সে আড়াআড়ি অবস্থানে থাকা লুকাকুকে বল না বাড়িয়ে জেমস দেন ম্যাসন মাউন্টকে। এই ফরোয়ার্ডের শট প্রতিহত হয় এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে।

আর্সেনালের রক্ষণে চাপ ধরে রেখে ৩৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় চেলসি। মার্কাস আলোনসো থেকে পাওয়া বল মাউন্ট বাড়ান ডান দিকে ফাঁকায় থাকা জেমসকে। দারুণ কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন প্রথম গোলে অবদান রাখা এই ডিফেন্ডার।

ছয় মিনিট পর জেমসের ট্যাকলে বক্সে সাকা পড়ে গেলে পেনাল্টির জোরালো আবেদন করেছিল আর্সেনাল। রেফারির সাড়া মেলেনি। দুই গোলে পিছিয়ে থাকার হতাশা নিয়ে বিরতিতে যায় দলটি।

৫০তম মিনিটে সাকার দূরপাল্লার শট ক্রসবারের উপর দিয়ে বের করে দিয়ে আর্সেনালকে ঘুরে দাঁড়াতে দেননি গোলরক্ষক এদুঁয়া মঁদি। ৬১তম মিনিটে সাকার বদলি নামেন পিয়েরে এমেরিক-অবামেয়াং। কিন্তু দলটির আক্রমণে ফেরেনি চেনা ধার।

গোলরক্ষক বার্নড লেনোর দৃঢ়তায় আর কিছুটা দুর্ভাগ্যের ফেরে ৭৬তম মিনিটে লুকাকু পাননি দ্বিতীয় গোলের দেখা। মাউন্টের ক্রসে বেলজিয়ান স্ট্রাইকারের জোরালো হেড লেনোর গ্লাভস ছুঁয়ে ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়। ৮৬তম মিনিটে ব্যবধান ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ নষ্ট করেন কাই হাভার্টজ।

শেষ দিকেও আর্সেনালের খেলায় ছিল না মরিয়া ভাব। দলের হার বুঝতে পেরে শেষের বাঁশি বাজার আগেই এমিরেটসের আঙিনা ছাড়তে শুরু করে দেন আর্সেনাল সমর্থকরা।