চলতি মৌসুমে ইতালিয়ান ক্লাব আতালান্তা থেকে ধারে টটেনহ্যাম হটস্পারে যোগ দিয়েছেন রোমেরো। মৌসুম শেষে স্থায়ীভাবে কিনে নেওয়ার সুযোগ আছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটির।
তবে সম্ভাবনা জেগেছিল তার বার্সেলোনায় যোগ দেয়ার। কোপা আমেরিকায় তার খেলা মনে ধরায় কাতালান ক্লাবে ২৩ বছর বয়সী এই ফুটবলারকে ভেড়াতে চেয়েছিলেন মেসি। যদিও শেষ পর্যন্ত লা লিগার ফিনান্সিয়্যাল ফেয়ার প্লে নিয়মের বাধ্যবাধকতায় আর্জেন্টিনা অধিনায়কেরই বার্সেলোনার সঙ্গে ২১ বছরের সম্পর্কের অবসান ঘটাতে হয়েছে। তিনি যোগ দিয়েছেন পিএসজিতে।
মেসির মত একজন তাকে নিজের ক্লাবে নিতে চেয়েছিলেন এটা ভেবেই রোমাঞ্চিত রোমেরো। কোপা আমেরিকা চলাকালীন বার্সেলোনার হয়ে রেকর্ড ৬৭২ গোল করা মেসিকে কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতায় মুগ্ধতা ঝরেছে তার কণ্ঠে। রেডিও এএম ৫৫০কে তরুণ এই ডিফেন্ডারকে জানান, জাতীয় দলে শুরু থেকেই মেসিসহ সবাই আপন করে নিয়েছিলেন তাকে।
“মেসি আমাকে একজন সতীর্থ হিসেবে মনে করেন, তিনি আমাকে বার্সেলোনায় নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তা হৃদয়স্পর্শী কিছুই।”
“আমি মেসি ও তার সঙ্গে এবং জাতীয় দলের পুরো গ্রুপের সাথে যা ভাগ করেছি সেজন্য তার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। দলে প্রথম দিন থেকে তারা আমাকে এমন অনুভূতি দিয়েছিলে যেন আমি সেখানে বছরের পর বছর ধরে আছি, এই ব্যাপারগুলো বলে দেয় গ্রুপ হিসেবে তারা কেমন।”
মেসির নতুন ক্লাবে সতীর্থ হিসেবে আছেন বেশ কয়েকজন আর্জেন্টাইন। সঙ্গে আছেন নেইমার-কিলিয়ান এমবাপের মত তারকারা। রোমেরোর আশা, জাতীয় দলের সতীর্থদের নিয়ে পিএসজিতে ইতিহাস গড়বেন ৩৪ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
“পিএসজি যে দলটি সাজিয়েছে তা দুর্দান্ত, তবে আমি কিছুটা দুঃখিত কারণ লিও বার্সেলোনা ছেড়েছে, আমি ভেবেছিলাম, সে সারাজীবন সেখানে থাকবে। আমি তার জন্য শুভ কামনা জানাই, তিনি একজন চমৎকার ব্যক্তি এবং আশা করি সেখানে থাকা অন্যান্য আর্জেন্টাইনদের সঙ্গে একত্রে সবকিছু জিততে পারবেন।”