সোসিয়েদাদকে ৪-২ গোলে হারিয়ে লা লিগা শুরু করা বার্সেলোনা শনিবার খেলবে আথলেতিক বিলবাওয়ের মাঠে। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত দুইটায়।
প্রতি মৌসুমে গড়ে প্রায় ৫০ গোল করে করা মেসি এখন পিএসজির। নিজেদের ইতিহাসের সেরা ফুটবলারকে ছাড়া বার্সেলোনার শুরুটা কেমন হয়, তা ছিল আগ্রহের বিষয়। দলীয় প্রচেষ্টায় প্রাণবন্ত ফুটবলে ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলারের অভাব সোসিয়েদাদ ম্যাচে বুঝতেই দেননি অঁতোয়ান গ্রিজমান-জেরার্দ পিকে-মার্টিন ব্রাথওয়েটরা।
সেদিন বার্সেলোনার খেলা দেখে ধারণা জন্মেছে, মেসিকে হারিয়ে এখন তারা অন্যান্য দিক থেকে শক্তিশালী হতে পারে। যেমন, এর আগে আক্রমণের মূল ভার অনেকটাই থাকত আর্জেন্টাইন তারকার ওপর। বড় দলগুলোর বিপক্ষে অনেক সময়ই যে কারণে তাদের ভুগতে দেখা গেছে। এখন আক্রমণ হতে পারে দলগতভাবে এবং গত ম্যাচে তাই দেখা গেছে।
সোসিয়েদাদের বিপক্ষে বার্সেলোনা একটা দল হয়ে চাপ দিয়েছিল এবং তারা দ্বিতীয় গোলটা পেয়েছিল ডিফেন্ডার এরিক গার্সিয়া উপরে উঠে এসে চাপ তৈরি করায়।
কাম্প নউয়ের ওই ম্যাচে বিশেষ করে বার্সেলোনার প্রথমার্ধের পারফরম্যান্স ছিল ছন্দময়। কোচ রোনাল্ড কুমানের বিচারে যা গত কয়েক বছরে প্রথমার্ধে দলটির সেরা পারফরম্যান্স। মেসিকে ছাড়া দল আরও ভালো হতে পারে বলে তার বিশ্বাস, ওই ম্যাচের পর বলেছিলেন কুমান।
“সম্ভব হলে আমি সবসময় মেসিকে দলে চাইতাম, কারণ সে নিজেই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিতে পারে। তবে দলগতভাবে এখন আমরা আরও ভালো হতে পারি।”
সোসিয়েদাদ কোচ ইমানোল আলগুয়াসিলও ম্যাচের পর বলেছিলেন, বার্সেলোনা খেলোয়াড়দের দলগত চাপই গড়ে দিয়েছিল ব্যবধান। আর এই কৌশলই মেসির অভাব কাটিয়ে উঠতে দলটিকে সহায়তা করতে পারে।
“এই দলও ছিল প্রায় আগের সবসময়ের বার্সেলোনার মতই, তবে এখন তারা ১০ খেলোয়াড় মিলে চাপ দিচ্ছে। আর এভাবেই তারা প্রথম লড়াইয়ে আমাদের বিপক্ষে জিতেছে। বার্সেলোনা যদি এই জায়গায় উন্নতি করতে পারে, তাহলে মেসিকে ছাড়াই তারা সাফল্য পাবে।”
বিলবাওয়ের বিপক্ষেও প্রায় একই একাদশ মাঠে নামাতে পারেন কুমান। সেক্ষেত্রে আক্রমণের দায়িত্বে থাকবেন মেমফিস ডিপাই, গ্রিজমান ও সোসিয়েদাদ ম্যাচে জোড়া গোল করা ব্রাথওয়েট।
বিলবাওয়ের আসরের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। প্রথম ম্যাচে এলচের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে তারা। সান মামেসে বার্সেলোনার বিপক্ষে তারা খেলবে ১০ হাজার দর্শকের সামনে।