কোপার ফাইনালে মেসির কথায় কেঁদেছিলেন গোমেস

কোপা আমেরিকার ফাইনালের আগে দলকে উজ্জীবিত করতে লিওনেল মেসির বলা কথাগুলো মন ছুঁয়ে গিয়েছিল আলেহান্দ্রো গোমেসের। চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি আর্জেন্টিনার এই মিডফিল্ডার। তার চোখে, সব দিক দিয়েই মেসি আদর্শ এক অধিনায়কের উদাহরণ।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 August 2021, 12:48 PM
Updated : 19 August 2021, 12:48 PM

জাতীয় দলের হয়ে দারুণ সময় পার করার পর নতুন দল সেভিয়ায় যোগ দিয়েছেন গোমেস। গত মাসে কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে জিতে ২৮ বছর পর আর্জেন্টিনার শিরোপা উৎসবে মেসির সতীর্থ ছিলেন ৩৩ বছর বয়সী এই ফুটবলার। সম্প্রতি আর্জেন্টিনার দৈনিক লা নাসিওনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অধিনায়ক মেসি এবং ফাইনালের আগে সতীর্থদের উদ্দেশে তার বক্তব্য নিয়ে কথা বলেন গোমেস।

সেই ফাইনালে খেলার সুযোগ হয়নি গোমেসের। তবে দলের সঙ্গে থাকায় কাছ থেকে সবকিছুর স্বাক্ষী ছিলেন তিনি।

“ফাইনালের ঠিক আগে সে কথাগুলো বলেছিল। সত্যি বলতে সে ঠিক কী বলেছিল, তা আমার হুবহু মনে নেই কারণ সেই সময় আমি কাঁদছিলাম। সে বলছিল নিজেদের প্রচেষ্টা, পরিবার নিয়ে…তখন শিশুর কান্নার মতো আমার গাল বেয়ে অশ্রু ঝরছিল।”

আর্থিক দুর্গতি ও লা লিগার ফেয়ার প্লে নিয়মের বাধায় মেসিকে ধরে রাখতে পারেনি বার্সেলোনা। কাতালান দলটির সঙ্গে তার ২১ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন হওয়াটা বিস্ময় হয়ে এসেছিল গোমেসের কাছেও। তবে ৩৪ বছর বয়সী তারকার পিএসজিতে যোগ দেওয়াকে সম্মানের দৃষ্টিতেই দেখছেন গোমেস।

তারকাখ্যাতির কারণে অধিনায়ক মেসিকে নিয়ে অনেকে ভুল বোঝেন। আসল ব্যাপারটা খুবই সাধারণ বলেও জানান গোমেস।

“লিও আমাদের সবার মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ এবং সাদামাটা মানুষ। আমি নিশ্চিত করতে পারি, দলে সেই একমাত্র ব্যক্তি ও সতীর্থ যার মধ্যে বাকিদের সবার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি মিল রয়েছে। তবে তার নাম মেসি হওয়ায় অনেকেই মনে করে, সে ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে।”

“সে আদর্শ এক নেতা, সার্বিক বিচারেই সে একজন অধিনায়ক।”

সবাই তার সঙ্গে দিয়েগো মারাদোনার তুলনা করে। এ প্রসঙ্গে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তির সঙ্গে মেসির পার্থক্য তুলে ধরেন জাতীয় দলের হয়ে সাত ম্যাচে তিন গোল করা গোমেস।

“সবাই তাকে সবসময় দিয়েগোর সঙ্গে তুলনা করতে চায়। তারা চায়, সে যেন মাঠে জোরে কথা বলে ও লড়াই করে। কিন্তু লিও এমন নয়। তবে বন্ধ ঘরে এমনটা করার দরকার হলে সে তা করতো।”

“দলে আসলে যেটা হয় তা হলো, লিও কখনোই কোনো বিষয় জনসম্মুখে আনতে চায় না…কখনও তার রাগ হলে বা কাউকে কিছু বলার দরকার হলে সে বলবে, কিন্তু সেটা নিজেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।”