বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সোমবার ২-১ গোলে জেতা শেখ জামালের ২১ ম্যাচে পয়েন্ট ৪৫। সমান ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে আবাহনী লিমিটেড। চার ম্যাচ হাতে রেখে বসুন্ধরা কিংস শিরোপা নিশ্চিত করেছে আগেই।
প্রথম লেগে শেখ জামালকে ৩-৩ ড্রয়ে রুখে দিয়েছিল পুলিশ এফসি। এবার শুরুটা ভালো হলেও শেষটায় হতাশাই সঙ্গী হয়েছে তাদের। ২১ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে আছে পাকির আলির দল।
বলের নিয়ন্ত্রণে ও আক্রমণে শেখ জামাল শুরু থেকে আধিপত্য করলেও নিজেদের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়ায় এগিয়ে গিয়েছিল পুলিশই। ১৯তম মিনিটে সতীর্থের লম্বা ক্রস বুক দিয়ে ক্রিস্তিয়ান কোয়াকো নামানোর পর পাশে থাকা মোহাম্মদ জুয়েল কাটব্যাক করেন। বক্সে ফাঁকায় থাকা মুরোলিমজন আখমেদভ বাঁ পায়ের জোরালো শটে খুঁজে নেন জাল। কোয়াকোর গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকলেও শেখ জামাল ডিফেন্ডার রেজাউল করিম পারেননি আক্রমণে ভেস্তে দিতে।
চার মিনিট পর আত্মঘাতী গোলে ফিরে সমতা। শেখ জামালের ভালিজনভ ওতাবেক লম্বা ক্রস বাড়িয়েছিলেন ওমর জোবের উদ্দেশে। গাম্বিয়ার এই ফরোয়ার্ড বলের নাগাল পাওয়ার আগে পুলিশ এফসির ডিফেন্ডার জাহাঙ্গীর আলম সজীব ব্যকপাসে চেষ্টা করেন বিপদমুক্ত করার। কিন্তু গোলরক্ষক আরিফুজ্জামান হিমেল পোস্ট থেকে একটু এগিয়ে থাকায় সজীবের ব্যকপাসই জালে জড়ায়।
শেখ জামালের দ্বিতীয় গোলের নেপথ্যের কারিগরও উজবেকিস্তানের ওতাবেক। এই ফরোয়ার্ডের লম্বা পাস ধরে আগুয়ান গোলরক্ষকের হিমেলের পাশ দিয়ে নিখুঁত টোকায় লক্ষ্যভেদ করেন সুলাইমান সিল্লাহ।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল শেখ জামালের সামনে। কিন্তু জোবের ব্যাক হিল, ওতাবেকের শট খুঁজে পায়নি ঠিকানা। জুয়েল-কোয়াকো কয়েকবার প্রতিপক্ষের রক্ষণে হানা দিলেও পারেননি পুলিশ এফসিকে সমতার স্বস্তি এনে দিতে।