বেলফাস্টের উইন্ডসর পার্কে বুধবার রাতে টাইব্রেকারে ৬-৫ গোলে জিতেছে চেলসি। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের লড়াই ১-১ সমতার পর অতিরিক্ত সময়ও এই স্কোরলাইনে শেষ হয়।
প্রতি মৌসুমের শুরুতে আগেরবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী ও ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়নের বিপক্ষে হয় এই ম্যাচ। যেখানে হাকিম জিয়াশের গোলে দারুণ শুরু করে ইউরোপ সেরারা। দ্বিতীয়ার্ধে জেরার্দ মরেনোর নৈপুণ্যে সমতায় ফেরে ভিয়ারিয়াল।
পেনাল্টি শুট আউটে দুই দলই প্রথম পাঁচ শটে চারটি করে গোল করে। ছয় নম্বর শটেও সফল উভয় পক্ষ। চেলসির সাত নম্বর শটটি আন্টোনিও রুডিগার জালে পাঠানোর পর ভিয়ারিয়ালের রাউল আলবিওলের শট রুখে দেন আরিসাবালাগা। শিরোপা জয়ের উল্লাসে ভাসে প্রিমিয়ার লিগের দলটি।
৮০ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে রেখে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে চেলসি। প্রত্যাশিতভাবেই ২৭তম মিনিটে এগিয়ে যায় তারা। বাঁ দিক থেকে কাই হাভার্টজের বাড়ানো পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে বাঁ পায়ের শটে গোলটি করেন মরক্কোর মিডফিল্ডার জিয়াশ।
পাল্টা আক্রমণে ৩২তম মিনিটে ভালো সুযোগ তৈরি করেছিল ভিয়ারিয়াল; কিন্তু ফরাসি ফরোয়ার্ড বুয়ে জিয়ার শট এগিয়ে এসে ঠেকান গোলরক্ষক এদুয়াঁ মঁদি। দুই মিনিট পর অন্যপাশে মার্কোস আলোনসোর নিচু শট ঝাঁপিয়ে ফেরান ভিয়ারিয়াল গোলরক্ষক সের্হিও আসেনহো।
প্রথমার্ধের কোণঠাসা স্প্যানিশ দলটি বিরতির পর দারুণ খেলতে থাকে। সুযোগও আসতে থাকে; কিন্তু সাফল্য মিলছিল না।
৫২তম মিনিটে আবারও পোস্টে বল লাগার হতাশায় পোড়ে ভিয়ারিয়াল। গোলকিক নিতে গিয়ে পিছলে যান মঁদি, দুর্বল শটে বল পেয়ে জিয়া বাড়ান মরেনোকে। দ্রুত ডি-বক্সে ঢুকে স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডের নেওয়া শট ঝাঁপিয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন মঁদি। বল তার আঙুল ছুঁয়ে লাগে পোস্টে।
অবশেষে তারা জালের দেখা পায় ৭৩তম মিনিটে। জিয়ার ব্যাকপাস পেয়ে জোরালো উঁচু শটে সমতা টানেন মরেনো। গত মৌসুমে ৩০ গোল করা স্ট্রাইকার ভিয়ারিয়ালের হয়ে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় এই নিয়ে শেষ ৯ ম্যাচে আট গোল করলেন।
এই নিয়ে ৪৭টি সুপার কাপ ম্যাচের মাত্র তিনটি গড়ালো টাইব্রেকারে এবং সবকটিতেই জড়িয়ে চেলসির নাম। আগের দুবারে দুটিতেই হেরেছিল তারা; ২০১৩ সালে বায়ার্ন মিউনিখ ও ২০১৯ সালে লিভারপুলের বিপক্ষে।
টাইব্রেকারে প্রতিপক্ষের প্রথম শটও ঠেকিয়ে শিরোপার আশা জাগান আসেনহো। কিন্তু পরে আর পারেননি তিনি।
১২০ মিনিটের প্রায় পুরোটা সময় বাইরে বসে থাকা আরিসাবালাগা মোট দুটি শট ঠেকিয়ে নায়ক বনে যান। টাইব্রেকারেই ভাবনাতেই মূল গোলরক্ষক মঁদিকে ১১৯তম মিনিটে বসিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দামি গোলরক্ষককে নামান টুখেল। আলবিওলের শট ঠেকানোর আগে আইসা মান্ডির প্রচেষ্টাও রুখে দেন এই স্প্যানিয়ার্ড।