মেসির বার্সা ছাড়ায় আমার হাত নেই: রিয়াল সভাপতি

অভিযোগটা বেশ বিস্ময়কর, লিওনেল মেসির বার্সেলোনা ছাড়ার পেছনে ভূমিকা আছে ফ্লোরেন্তিনো পেরেসের। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 August 2021, 04:16 PM
Updated : 11 August 2021, 04:16 PM

৫০ শতাংশ বেতন কমিয়ে কাম্প নউয়ের দলটিতে থেকে যেতে চেয়েছিলেন মেসি। বার্সেলোনা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা জানান, ক্লাবের আর্থিক দূরাবস্থা ও লা লিগার ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লের কারণে মেসির সঙ্গে চুক্তি করা সম্ভব হয়নি।

চোখের জলে প্রিয় ক্লাবকে বিদায় জানানো আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড এরই মধ্যে বেছে নিয়েছেন নতুন ঠিকানা। এখন থেকে ফ্রান্সের দল পিএসজির হয়ে খেলবেন তিনি।

তবে মেসিকে ধরে রাখতে বার্সেলোনা যথেষ্ট তৎপরতা দেখায়নি বলে দাবি হাউমে ইয়োপিসের। এস্পাই বার্সা প্রজেক্টের বোর্ড থেকে পদত্যাগ করা বার্সেলোনার এই সদস্যর দাবি করেন, পেরেসের ইচ্ছার কাছে নত হয়েছেন লপোর্তা। স্প্যানিশ একটি দৈনিকের বরাত দিয়ে বুধবার এমন তথ্য দিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

“মেসির চলে যাওয়াটা ফ্লোরেন্তিনোকে সাহায্য করেছে। ভেবে দেখুন, (কিলিয়ান) এমবাপে এখন রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিচ্ছেন।”

আর এই কাজে পেরেসকে বার্সেলোনার নতুন সিইও ফেররান রেভেরতের সহায়তা করেছেন বলে দাবি ইয়োপিসের।

“নতুন সিইও ফেররান রেভেরতেরের পরামর্শেই ‘সিভিসি ক্যাপিটাল পার্টনার্স’ এর কাছে লা লিগার ১০ শতাংশ বিক্রি করে দেওয়ার প্রস্তাবে সই করেননি লাপোর্তা, তাছাড়া তার পরামর্শেই পেরেসের সঙ্গে তিনি থেকে গেছেন সুপার লিগ প্রজেক্টে।”

“কাকতালীয়ভাবে রেভেরতের হলেন পেরেসের দীর্ঘ দিনের বন্ধু এবং তাদের মিলিত প্রচেষ্টা লাপোর্তার মত বদলে দেয় এবং আলোচনা (মেসির চুক্তির ব্যাপারে) বন্ধ হয়ে যায়।”

পেরেসের দাবি, রেভেরতেরের সঙ্গে আগে তার দেখা হয়েছে কেবল দুইবার- প্রথমবার চার মাস আগে, আরেকবার গত শনিবারের ডিনারে যেখানে লাপোর্তা ও ইউভেন্তুস চেয়ারম্যান আন্দ্রেয়া আগনেল্লিও ছিলেন। তবে তত দিনে সব সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে বলে দাবি পেরেসের।

“এটা অসম্ভব যে মেসির চলে যাওয়ার পেছনে আমার হাত আছে, অথবা বার্সেলোনার নেওয়া অন্য কোনো সিদ্ধান্তে। আশা করব, ইয়োপিস যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তার মিথ্যা বক্তব্য সংশোধন করবেন।”

সম্প্রতি লা লিগা তাদের ব্যবসার ১০ শতাংশ বেসরকারি ইক্যুইটি ফার্ম ‘সিভিসি ক্যাপিটাল পার্টনার্স’এর কাছে বিক্রির উদ্যোগ নেয়। তবে এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে প্রতিযোগিতাটির সফলতম দুই দল রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা।

ইউরোপের ১২টি ফুটবল ক্লাব নিয়ে যে সুপার লিগের পরিকল্পনা করা হয়েছিল সেখান থেকে ৯টি ক্লাব সরে গেলেও থেকে গেছে বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ ও ইউভেন্তুস।