সবশেষ গত মঙ্গলবার পিএসজিতে যোগ দেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি। এর আগে ডাচ মিডফিল্ডার জর্জিনিয়ো ভেইনালডাম, স্প্যানিশ ডিফেন্ডার সের্হিও রামোস, মরক্কোর ফুলব্যাক আশরাফ হাকিমি ও ইতালিয়ান গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মাকে দলে ভেড়ায় প্যারিসের দলটি।
প্রতিটি পজিশনে নতুন খেলোয়াড় যোগ হওয়ার পর পিএসজির শক্তি-সামর্থ্য নিয়ে কারো সংশয়ের কোনো সুযোগ দেখেন না আল-খেলাইফি। পিএসজির খেলোয়াড় হিসেবে মেসিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময় এমবাপেকে একরকম বার্তাই দিলেন তিনি।
“এমবাপে খুব লড়াকু মনোভাবের। বলা হয়েছিল, সে চায় সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো শক্তিশালী দল। এখন আর এমন কোনো অজুহাতের সুযোগ নেই। এর চেয়ে বেশি কিছু করা সম্ভব নয়।”
“আমরা প্রতিটি ম্যাচ জিততে চাই। জিততে চাই প্রতিটি ট্রফি। কিন্তু এখনও আমরা কিছু জিতিনি। ম্যাচ জিততে আমাদের পরিশ্রম করতে হবে। শিরোপা জিততে আমাদের জেতার মানসিকতা ও শৃঙ্খলা প্রয়োজন হবে।”
মেসি আসায় শুধু দলের উন্নতি হয়েছে এমন নয়, পিএসজি চেয়ারম্যান মনে করেন, সামগ্রিকভাবে লিগ ওয়ানেরও অনেক উন্নতি হবে। আর্জেন্টাইন মহাতারকা প্যারিসে পেয়েছেন বীরের সংবর্ধনা। তিনি এসেছেন মঙ্গলবার অথচ দুদিন আগে থেকেই বিমানবন্দরের আশোপাশে ছিল সমর্থকদের ভিড়। মেসি আসার খবরেই প্রভাব পড়েছে শেয়ার বাজারে। আল-খেলাইফির মতে, এগুলো কেবলই শুরু।
“লিগ ওয়ান এক ধাপ এগিয়ে গেল। এখন টিভি স্বত্ব থেকে শুরু সবাই উপরে উঠবে। সবাই এখন পিএসজিকে দেখতে চাইবে। আমাদের সামনে এখন সবার জন্য কিছু করার সুযোগ, এই ক্লাব, এই শহর, ভক্তরা…এটা কেবলই শুরু। কঠোর পরিশ্রম শুরু হবে এখান, প্রথমত মাঠে। এরপর বাইরে। মেসি অনেক শিরোপা জিতেছে, আমি নিশ্চিত, আমাদের অনেক শিরোপা এনে দেবে।”
“মেসিকে পিএসজি খেলোয়াড় হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতে পেরে আমি খুশি ও গর্বিত। এটা বিশ্ব ফুটবল ও ক্লাবের জন্য ঐতিহাসিক ও অবিশ্বাস্য একটি দিন। আমাদের জন্য এটা অসাধারণ এক মুহূর্ত। একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ছয়টি ব্যালন ডি’অর জিতেছে মেসি। খেলেছে জাদুকরী ফুটল, তাকে এখানে পাওয়াটা সম্মানের।”