কাণ্ডটি ঘটেছে মেয়েদের মডার্ন পেন্টাথলনে জার্মানির প্রতিযোগী আনিকা শ্লয়ের ওয়ার্মআপের সময়। ঘোড়া কথা শুনছিল না বলে মেজাজ হারিয়ে আঘাত করে বসেন রেইজনার।
শনিবারই একক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল রেইজনারের। কিন্তু আগের দিনের শো জাম্পিংয়ে ওই আচরণের জন্য জার্মানির এই কোচকে ডিসকোয়ালিফাইড করা হয়েছে বলে জানায় দা মডার্ন পেন্টাথলন ফেডারেশন (ইউআইপিএম)।
জার্মানির অলিম্পিক দলের প্রধান আলফন্স হরম্যান অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন, ছেলেদের একক প্রতিযোগিতাটি থেকে রেইজনারকে সরিয়ে ফেলার কথা। একই সঙ্গে নিয়মে পরিবর্তন আনার জন্য সুপারিশ করেন তিনি।
“শনিবারের প্রতিযোগিতায় এই কোচের না থাকার বিষয়ে আমরা সবাই একমত ছিলাম। আমরা এটাও মনে করি, এই ঘটনার একটি জরুরি পর্যালোচনা প্রয়োজন। বিশেষ করে পশু সুরক্ষার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ফেডারেশনগুলো সিদ্ধান্ত নিতে পারে।”
মডার্ন পেন্টাথলনে পাঁচটি ভিন্ন খেলার মধ্য দিয়ে পদকের জন্য লড়াই করেন প্রতিযোগীরা। নিয়ম অনুযায়ী, সেখানে শো জাম্পিংয়ে তারা ব্যবহার করতে পারেন না নিজেদের ঘোড়া। এলোমেলোভাবে নির্বাচিত হয় যা, এবং মূল লড়াইয়ের আগে ২০ মিনিট সময় দেওয়া হয় ঘোড়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে।
রাইডার শ্লয়ের ঘোড়াটি সমস্যা করতে দেখা যায় ওয়ার্ম আপে। লাফাতেও চাচ্ছিল না সেটি। হতাশা বাড়তে থাকে জার্মান প্রতিযোগীর। চিৎকার করে কান্না করতে থাকেন তিনি।
তখনই কোচ রেইজনার ঘোড়াকে আঘাত করতে বলেন। পরে তিনি নিজেই ঘোড়ার পেছনের পায়ের উপরের দিকে ঘুষি দেন। তাতেই শাস্তি পেতে হচ্ছে তাকে।