ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-টোয়েন্টি সিরিজ অস্ট্রেলিয়ানরা খেলেছে সেন্ট লুসিয়ায়। সেখানে উইকেট মূলত ছিল ব্যাটিং সহায়ক। পরে ওয়ানডে সিরিজে বারবাডোজের উইকেট ছিল পুরোপুরিই স্পিন সহায়ক। টার্নারের মূল কাজ ব্যাটিং। তবে পরিস্থিতির দাবি মেটাতে ক্যারিবিয়ায় ওয়ানডে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে বল হাতেও ভূমিকা রাখেন তিনি।
একসময় অবশ্য ব্যাটিংয়ে পাশাপাশি অফ স্পিন তিনি নিয়মিতই করতেন। পরে কাঁধের চোটের কারণে দূরে থাকতে বাধ্য হন বোলিং থেকে। ক্রমে চোট সারিয়ে অ্যাকশন কয়েক দফায় বদল করে আবার টুকটাক বোলিং শুরু করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজে শেষ দুই ওয়ানডে মিলিয়ে ১৪ ওভার কার্যকর অফ স্পিনে নেন দুটি উইকেট।
বাংলাদেশেও ব্যাটে-বলে অবদান রাখতে তিনি প্রস্তুত বলে রোববার সংবাদ সম্মেলনে জানালেন ২৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
“আমি রোমাঞ্চিত, প্রথমবার বাংলাদেশে এসেছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজেও প্রথমবার সফর করে এলাম। এখানে যারা আগে খেলেছে, তাদের সঙ্গে কথা বলে যা বুঝলাম, ওয়েস্ট ইন্ডিজে যেসব উইকেটে খেলেছি, এখানে খুব ভিন্ন কিছু হবে না। অস্ট্রেলিয়া থেকে সফরে এসে, এই শীতকালে (অস্ট্রেলিয়ান মৌসুম) এমন অনেক উইকেটেই খেলতে হবে, যেখানে স্পিন ধরে। স্পিনার হিসেবে আমি রোমাঞ্চিত যে এরকম উইকেট পাব, যেখানেস্পিনারদের সহায়তা থাকে। অস্ট্রেলিয়ায় এটা সবসময় পাওয়া যায় না।”
“ব্যাটার হিসেবেও আমরা জানি যে, দারুণ কিছু স্পিনারের মুখোমুখি হতে হবে আমাদের এবং কোনো সংশয় নেই যে তারা অনেক ওভার বোলিং করবে।”
টার্নার যখন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন, তখনও মিরপুরের উইকেট-কন্ডিশন দেখা হয়নি তার। তিন দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে রোববার বিকেলে অস্ট্রেলিয়ার অনুশীলন। সিরিজ শুরুর আগে মাত্র দুটি অনুশীলন সেশন। এতেই তারা প্রস্তুত হয়ে যাবেন বলে মনে করছেন টার্নার।
“এখনও মাঠে যাইনি। ঢাকায় আসার পর প্রথম তিন দিন আইসোলেশনে ছিলাম। আজকে বিকেলে আমাদের অনুশীলন আছে। দলের কয়েকজন আগের সফরগুলোয় এই মাঠে খেলেছে। কন্ডিশন দেখতে, অনুশীলন করতে এবং মঙ্গলবারের ম্যাচের জন্য নিজেদের যতটা সম্ভব প্রস্তুত করে তুলতে মুখিয়ে আছি।”
বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু মঙ্গলবার।